স্বজন
মোমিনুল হক আরাফাত
কে আপন! কে দেখাবে আমায় স্বপন?
যন্ত্রণাময় এ বুকে হয়না তো আর দহন,
একটু সুখ দাও আমায়,
একটুু দাও বাঁচার প্রেরণা
কে কার আপন? কে হবে আমার স্বজন?
না, না, কেউ না,
এ জগতে কেউ কারো না।
যত দেখেছি স্বপন যত খুঁজেছি স্বজন,
সবি তো ছিল মিথ্যা স্বপন।
জগতে কে কার?
নিজের মাঝে নিজেকে হারিয়েছি,
নিজেই নিজেকে চিনি নাই আজো।
কত রূপ আছে আমার?
কত রূপে করি অভিনয়!
কজনারেদি প্রেরণা, কার সাথে করি ছলনা,
এইতো হলো রঙ্গিন জীবন।
নিজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে,
সঙ্গী করেছি মাটি।
শত স্ব্প্ন বুকে চাপা দিয়ে বেঁচি আছি,
মাঝে মাঝে ভাবি,
এইতো বুঝি সময় হলো ওপাড়ের।
সম্পর্ক মুছে যায়,
বাঁধন ছিঁড়ে যায়,
সময়ের সাথে বদয়ে যায় সবি।
তবু মনে হয় আছে এখনো কোন স্বজন,
আছে এখনো কোন মায়াবী বাঁধন।
মাঝে মাঝে তাইতো দেখি,
নইবা কোন অট্রালিকা ঘরে,
কোন একপাড়া গায়ের পোড়া পায়ে।
দেখেছি তো আমি-
ছোট্ট বোনটির পায়ে লেগেছে আগুন
সে সাথে লেগেছে আগুন সাত বছরের,
ভাইটির বুকে।
মা যায় ছুটে ডাক্তারের কাছে
পিছি-পিছে বালকটি দৌঁড়ে,
এক বালতি পানি নিয়ে।
ঐ পানিতে ডুবানোছিল আঁদরের বোনটির পা;
যেন আগুনের তেজ নাহি লাগে তারি গায়ে।
এ আঁদর এ স্নেহ থাকে কত কাল?
বয়স বাড়ার সাথে সবি কি যায় ভুলে?
রাতে বিছনাই শুয়ে আছে আগুনে পুড়ো বোনটি
সাত বছরের বালটিও
মায়ের পাশে বসে আনমনে বলে,
মা কবে বোন সুস্থ হবে?
কবে খেলবে আমার সাথে?
কবে গরু নিয়ে যাব দু জন বিলের ধারে,
সন্ধ্যাই ফিরব মা তাড়া-হুড়া করে।
এ বাঁধন কি ছিড়ে যায় কভু?
না, যায় না তো এ বাঁধন ছিড়ে,
একি মায়ের স্তন করেছি পান,
আমরা দু জন,
কি করে ভুলি একে অপর-রে?
যদিও যায় কবু এ বাঁধন ছিড়ে,
তাবে বরি উচ্চ স্বরে;
নিয়তি নিয়েছে কেঁড়ে মমতার বাঁধন,
দিয়েছে দূরেটেল।
২৫ মাঘ ১৪২৩ বাংলা,
৭-২-২০১৭ ইংরেজি