আরো শ'বছর আগে ছিলোনা এখানে কেও
শকুনের ঝাঁক উরে বেড়াতো মৃতের খোঁজে
রোগাক্রান্ত এক কঙ্কাল আসতো মাঝে মাঝে
চোখের জলে ভেজাতো সে শিউলি গাছের মাটিকে


কিন্তু , সে গাছে শিউলি ফোটেনি কভু
ফুটেছে সুধু রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার ফুল
সে গাছ দেখেনি কখনো কোন পাখি নজরে
নিজের অশ্রুতে ভিজিয়েছে কত নিজেরই মাটিকে


কত যুগ পার হলো যুগে যুগে এলো সভ্যতা
এলো সে সভ্যতা যে সভ্যকে বানালো অসভ্য
এলো সে সভ্যতা যে দুঃখীকে বানালো পাপাচারী
এলো সে সভ্যতা যে ধনীকে বানালো অহংকারী
এলো সে সভ্যতা যে মিথ্যাকে করলো সত্যবাদী
এলো সে সভ্যতা যে সত্যকে করলো অপরাধী ।


সে কৃষ্ণচূড়া গাছ এখন কাদেনা সেখানে
বৃষ্টির দিনে সেখানে যুগলদ্বয় উল্লাসের খেলায় মেতে উঠে
প্রিয় রমণীর কানে গুজে দেয় এক গুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া ফুল
স্পর্শ করে দেয় ভালবাসার ঠোঁট খানি ,
রোদের দিনে সে গাছের ছায়ায় ঘুমায় একদল উন্মাদ কবি
পরস্পর অন্যের কবিতা নিয়ে বিলাপে লিপ্ত হয় তারা


কিন্তু, কেও জানেনা এই গাছের নিচেই সেই শ'বছর আগে
ছিন্ন করে বুকের হৃদপিণ্ড , মগজ উপড়ে মাটিচাপা দিয়েছিল পিশাচেরা আমায়
আমিও তো শেষবারের মতো আমার প্রেমিকার হাতটা ধরতে চেয়েছিলাম
হতে চেয়েছিলাম তার স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ,
চেয়েছিলাম মায়ের হাতের শেষ খাওয়াটা খেয়ে আসি , জড়িয়ে আসি একবার সে মমতাময়ী এর বুকে ।


কবরের নিচ থেকে সবাইকে দেখি আমি , আপন আনন্দে কাটাচ্ছে জীবন
কেও দেখেনা এই কয়েদীকে পাথর কান্না কাঁদছে যে ক্ষণ
না , একে তো কবর বলা যায়না ; জোর করে মাটিচাপা দেয়ার নাম কি কবর?
আজ শ'বছর পরেও খুঁজে ফিরছি আমি এর উত্তর ।