অনেকেই চলে গেল পরপারে যারা ছিল একসাথে,
যদিও তাদের বয়স  হয়নি তখনো ঊনষাট কিংবা ষাটে।
শুধু রশিদ মিয়া রইল বাকি এখনো রসিদ কাটেনি যম,
তাই আশি বছরেও অট্টহাস্যে তার দিন কাটে হরদম।
রশিদ মিয়া রসিক মানুষ সদা আনন্দ তার মনে,
বয়স তাহার যায় না বোঝা মোবাইল আলাপনে।
হাস্যরসের উদ্দীপনে কথা বলে অনর্গল,
হঠাৎ একদিন তার মোবাইলে আসলো অচেনা এক কল।
সুরেলা চপলা এক অষ্টাদশীর মোহিনী কণ্ঠস্বর,
ভুলক্রমে এসে রশিদ মিয়ার কর্ণ করিল মুগ্ধকর।
উদাস হইল রশিদ হৃদয় দক্ষিণের পবনে,
মিষ্টি সুরে কেটে যায় দিন দুজনের কথনে।
অষ্টাদশীর অনুমান হয়তো বন্ধুর বয়স সাতাশ,
রশিদ মিয়ার ভাবনা অসহায় বিধবা বয়স পঞ্চাশ।
হরেক কথায় দিন কেটে যায় তৃষ্ণা জাগে আঁখির কোনায়,
প্রিয়জনের মুখ দেখিতে কি যে সুখ জগতে কেবা নাহি চায়?
অবশেষে স্থান ক্ষণ হলো নির্ধারণ দেখা হবে দু'জন দুজনাতে,
দেখা হলে; অষ্টাদশী ভেংচি হাসে রশিদ মিয়া খুশকি কাশে নিদারুণ লজ্জাতে।
বিদায় বেলায় কথা নাহি হয় শুধু ভুলগুলো দু'জনাতে পীড়া দেয়,
বুঝেছে দুজনে এই সুন্দর ভুবনে দুঃখ পেতে হয় অলস রসিকতায়।