হে রূপসী অষ্টাদশী,
কেন আড়চোখে দিস মুচকি হাসি?
আমায় দেখে,
তোর উড়ো কেশের ফাঁকে ফাঁকে।
বৈশাখ জৈষ্ঠ মধু মাসে তপ্ত হাওয়া আসছে ভেসে
বলনা আমায়,
তুই কি আমার গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদে
শীতল হাওয়ার গা জুড়ানো পাখা হবি?


বর্ষাকালে ব্যাঙের ডাকে, ঘুম আসে না দুটি চোখে।
টিনের চালের নির্জন ঘরে, ঝরো ঝরো বৃষ্টি ঝরে।
শীতল হাওয়ায়, সবাই ঘুমায়। শুনবি নাকি?
আমি শুধু একা একা জেগে থাকি।
তুই কি আমার সেই বাদলা রাতের একাকিত্বের সঙ্গী হবি?


শরৎ কালে নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় ইচ্ছে মত,
নদীর কূলে কাশফুলেরা দূর ইশারায় প্রণয় জানায় অবিরত।
শিউলি,জবা দখিন হাওয়ায় সুবাস ছড়ায় তোরই মত,
তুই কি হবি প্রণয় দেবী? আমার আউল বাউল এ হৃদয়ে উষ্ণ উষ্ণ ছোঁয়া দিবি নিয়মিত?


মাঠে মাঠে পাকা ধান, কৃষকের মুখে গান।
ঘরে ঘরে নবান্নের, নিমন্ত্রণ হয় হেমন্তের।
শিশির ভেজা সবুজ ঘাস, জানায় শীতের পূর্বাভাস।
নিঝুম পথে সন্ধ্যা হলে, জোনাকিরা আলো জ্বালে।
তুই কি আমার হেমন্ত কালের জোসনা রাতের জোনাকি হয়ে নিঝুম পথে একলা চলার দোসর হবি?


শীতকাল এলে দিন দুপুরে,গাছের সকল পাতা ঝরে।
চারিদিকে ঠান্ডা হাওয়া, হৃদয় খোঁজে উষ্ণ ছোঁয়া।
বল না আমায়, তুই কি আমার শীতকালের শিশির ভেজা কুয়াশা ভোরের সোনা ঝরা রোদ্দুর হবি?


ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে, সকাল-বিকাল ফুলের বনে,
মৌমাছিরা গুঞ্জরণে, ফুলের মধু আহরণে।
কুহু কুহু কোকিল ডাকে, প্রণয় তৃষ্ণা লুকিয়ে বুকে।
গাছের শাখে পাখির ডাকের
উষ্ণ দুপুর অলস প্রহর,
তুই কি আমার বসন্তকালের
আধো তন্দ্রার সঙ্গী হবি???