সুস্মিতা !
তোমার হাসি আমার হৃদয়ে
শরতের কাঁশফুলের মতো দোলা দিয়ে যায়,
তোমার গালের ওই ছোট্ট তিল,
আমার চোখের ইচ্ছেশক্তি কেড়ে নেয়।
সুস্মিতা !
বাকা তলোয়ারের মতো
তোমার ওই চোখের ভ্রুতে,
কালো কাজলের শান দিয়ে
আমায় কেমন, ঈশারায় ডাকছে।
সুস্মিতা !
ফুটন্ত গোলাপের পাঁপড়ির মতো,
তোমার ওই রেশমী ঠোটের এক কোণে
কামড়ে ধরেছে, তোমার ওই মুক্তোর মতো দাত;
তাতে আবার এক ফালি হাসিতে
আমায় স্মৃতিভ্রম করে দিচ্ছে।
সুস্মিতা !
আমি তোমায় দেখিনি কখনো,
কখনো কথাও বলিনি,
তবুও যেদিন তোমার কথা
প্রথম শুনেছি...
সেদিন আমার কর্ণধারে
এক অদ্ভুত শিহরণ অনুভূত হয় !
সেই থেকে তোমার ওই কন্ঠস্বর
শোনার অধীর অপেক্ষায় থাকি,
শুধু একটু ভালো থাকার জন্য।
সুস্মিতা !
সেদিন স্বপ্নে আমি গিয়েছিলাম
ময়মনসিংহের সুতারপাড়া গ্রামে,
দেখলাম, শিউলী ফুলের মালা হাতে
একটি মেয়ে শাড়ী পড়ে দাড়িয়ে আছে।
আমি সামনে এগুতেই লজ্জায় মুখ ঢেকে
আচমকা দৌড় দিলো,
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে সে তুমি।
সুস্মিতা !
কিন্তু কেনো...?
আমায় ফাকি দিয়ে চলে গেলে দেখা মাত্রই।
নাহয় স্বপ্নেই এসেছিলাম তোমার কাছে,
তাইবলে এভাবে কাঁদাবে আমায় ?
ঠিকআছে, কান্না......!
সে তো আমার রোজকার পথ্য,
এখন তাতেই ভালো থাকি আমি।
সুস্মিতা
একটু ভালো থাকতে চেয়েছিলাম,
একটু হাসতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু, সুখ সেতো মরিচিকা
আমায় ধরা দেবেনা জানি।
তাই,
তোমার বিরক্তের কারন হবোনা
আর কখনোই,
ভালো থেকো সুস্মিতা !