এই শুনছো?
কোথায় তুমি?
মন খারাপ?
কথা বলো না যে?
ফোন ধরো না কেন ?
তোমায় যে ভালোবাসি অনেক ;
আমার ভালোবাসা আকাশের সমান কিনা জানি না ;
তবে একটি প্রশ্বাসের সময়ও
তোমাকে ছাড়া ভাবা কষ্টের ।
দম বন্ধ হয়ে যায় ।
শীতের শুকনো পাতার মত
কেবল হৃদয়টা রুক্ষই মনে হয় ।
মৃত্যু হয়তো আশেপাশেই
বায়ুকণার সাথে খেলা করছে ;
দরজা বন্ধ , জানালা বন্ধ –
আলপিনের মতো একটুখানি ছিদ্রি আছে ;
এখনো হয়ত খোঁজে পায়নি ও ।
মৃত্যু অবৈতনিক ;
পরম নির্দয় ;
বলছে সখী হবে আমার ।
কাছে আসলে যে তোমার কাছ থেকে
ছিনিয়ে নিবে আমায় ।
ক্লান্ত শরীর ;
বিছানা থেকে উঠতেই পারছি না ;
জ্বরের ঘোরে শুধু তোমার
নামেই প্রলাপ বকছি ;
ছিদ্রিটা একটু বন্ধ করে দিবে?
আমার যে উঠার সাধ্য নেই ।


এই কি হলো?
তুমি না বলেছিলে
আমাকে ছাড়া থাকতে তোমার
খুব কষ্ট হয় !
নিঃশ্বাস নিতে পারো না
আমাকে ছাড়া ।


তবে আজ দূরে কেন?
কথাও বলছো না?


তবে কি কীটসের মতো
আমিও দেখবো আধারের স্বপন?
আচ্ছা! একটা কথা রেখো –
রাখবে?
যখন আমি অন্ধকারের
রকেটে চড়ে পৃথিবী ছাড়বো
তার আগে একটি মোমের আলো
জ্বেলে রেখো তোমার
মুখখানার সামনে ।
হাত দিয়ে ছোঁব না ওই মুখ ।
চোখ দিয়ে স্পর্শ করবো ।
আর চলে যাবার পর
মাঝেমাঝে একটু ছাদে এসো
বেড়াতে ।
ওই যে তারাটা দেখছো
তার গায় আমি থাকবো ।
তুমি ছাদে আসলে ,
তোমার মুখখানি দেখে
তৃষ্ণা মিটাবো ।
না হলে আমার আত্মা
অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে আবারো
ঘুমের মাঝে তোমার কাছে আসবে ।
তোমার কাছে ভালোবাসা চাইবে ।


জানি অনেক সুখে থাকবে ,
একটা জিনিস চাইবো , দিবে?
আমার সপ্রাণ শরীরে
তোমার দু’ফোঁটা অশ্রুর পরশ
বুলিয়ে দিতে পারবে?
যেন আমি চলে যাবার পরও
তোমার কাছে ঋণী হয়ে থাকতে পারি?