ধরণী!
অনিন্দসুন্দর কোন রমণী,
যার সৌন্দর্যে ফেটে যায় মুগ্ধতার ধমণী,
বৃক্ষরাজি তার ঘন কালো কেশ,
বাহ! দেখে লাগছে আমার বেশ!


ধরণী!
স্বাধীনচেতা কোন কিশোরীর ন্যায় পাখি,
চাঁদ-সূর্য যার লুকিয়ে থাকা দু আখি,
দু চোখে দু আবেশের আলো,
সত্য কইছি! দেখে মনটা বদলে হয়ে গেল ভাল!


ধরণী!
হাজার দুঃখ চাপা দিয়ে রাখা কোন গ্রাম্য রমণী,
আকাশ তার মেঘে ঢাকা মুখ,
বৃষ্টি তার কষ্টে চাপা দিয়ে রাখা চোখের পানি,
সেই কান্না বুঝি ডাকছে দিয়ে কোন ভয়ার্ত হাতছানি?


ধরণী!
সেই পুরনো ঈশ্বরের তৈরি রহস্যময়ী কোন রমণী,
হাজার তরুণের বুকে দোলা দেওয়া সেই তরুণী,
যার অকৃত্রিম সেই লাস্যে  লাখো যুবক মনের ভুলে,
চড়ে সুখে হারিয়ে যাবে যে কোন শূলে।