বাইরে কি সুন্দর স্নিগ্ধ বাতাস,
বাতাসে  প্রেম না দুঃখের গন্ধ ধরতে পারছিনা,
আকাশে মাঝে মাঝে মেঘের লুকোচুরি,
মেঘ মনে হয় নারী, বৃষ্টি আজ পুরুষ।
বৃষ্টিকে ডাকছে মেঘ, বৃষ্টি হয়ত চলে আসবে,
নারীর ডাকে সারা দেয়না এমন পুরুষ খুব কম,
দুঃখগুলো জমে জমে ধীরে ধীরে হচ্ছে আকাশসম।


শুকনো নদী দেখলে নিজের কথা মনে পড়ে,
গ্রীষ্মের দাবদাহ দেখলে নিজের কথা মনে পড়ে,
ভয়ংকর খুনী দেখলে নিজের কথা মনে পড়ে,
নিঃসঙ্গ নিয়ন আলোয় উন্মাদ দেখলে নিজের কথা মনে পড়ে,
নিজেকে মনে হয় ভিখারীসম।


অদ্ভুত পৃথিবীতে নিজেকে অসহায় মনে হয়।
মাঝে মাঝে হায় খোঁজার চেষ্টা করি,
তোমাকে দেখলে কেন যেন আনন্দ হয়,
তোমাকে পাবার অবাধ আদিম ইচ্ছা জেগে ওঠে,
কিন্তু আমি জানি তোমাকে আমি পাবার নই।
বামন কখনও চাঁদের দিকে তাকায়না,
চারিদিকে নীল রঙ্গের নরক দেখতে পাই,
আমার সুখগুলোতে কে যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে,
দুঃখের কেরোসিনে আগুন জ্বলছে দাও দাও করে।


পৃথিবীর সব হতাশা যেন পেয়ে বসেছে,
স্বর্গ যদি পায়ের সামনে কেউ এনে দেয়
তাও খুশি হবার নই আমি, কিছুতেই খুশি হবনা,
খুশির মা মারা গেছে আমার জন্মের আগে,
তবু রাত জেগে তোমার সাথে নিঃশব্দে কথা বলতে
                                    ইচ্ছে করে।
তোমার সাথে মুঠোফোনে কাঁটাব নির্ঘুম রাত,
আমাদের মাঝে কেউ ফোন রাখতে চাইবেনা,
সাক্ষী হবে ঐ নিষ্পাপ জ্যোৎস্না।