এবারের গ্রীষ্ম আমাকে অনেক ভোগাল,
উত্তাপে প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি!
সাথে যেন আমার দুঃখের সম্পূর্ণ স্ফূর্তি।
ভেবেছিলাম বর্ষা হয়ে হয়ত তুমি আসবে,
আমায় ভেজাবে, স্বর্গীয় ভালবাসায়।
তুমি আসনি, তবে বর্ষা কিন্তু এসেছিল;
ভাসিয়েছিল আমায় বেদনার জলে,
যে জল আমি সইতে নারি,
দুনয়ন ভরে শুধু আজি কাঁদতে পারি।
ভালবাসা ভেসে যায় যে জলে,
দুঃখী প্রেমিক আমি কাঁদি সুখের ছলে।
আমার কান্না স্পর্শ করল প্রকৃতিকে,
কেঁদেছে প্রকৃতি; তবু কাঁদনি তুমি।
মনের দুখে ফুকেছি আমি ছাই পাস,
চোখের জলে ভেসেছিল চারিপাশ।
যতদূর চোখ যায় বেদনাবিধৃত জল,
হ্যাঁ বর্ষা এসেছিল, থেকেছিল বটে অনেকদিন।
কেঁড়ে নিয়েছিল আমার শরৎকে,
বুঝতেই দেয়নি কখন হেমন্ত এসে চলে গেল।
শিউলি ফুলের গন্ধে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারিনি,
হেমন্তের নব্য ধানের আঁটি কোন কৃষকের ঘরে উঠেনি।
তারপর হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই,
এসে গেল রিক্ততার সম্রাট, শীত!
আমার জীবনের বাকী যা ছিল সবুজ,
সব হয়ে গেল হলুদ, অগ্রজ থেকে অনুজ।
ঠাণ্ডায় জুবুথুবু আমি, কাঁপছি তোমার প্রতীক্ষায়,
ভালবাসা দিয়ে আমায় উষ্ণ কর,
বসন্ত হয়ে এসে আবার সব শ্যামল কর,
সময় করে আমার হাতটা এসে একটু ধর।