কোন এক অবসন্ন বিকেলে  
নিমন্ত্রণ পেলুম তোমার  ।
সোনালী খামে মোড়ানো পত্রটা
কেউ একজন পৌছে দিয়েছিল
আমার ঠিকানায় ।
কর্মক্লান্ত শরীরে ফিরে এসে দেখি
বিছানায় পরে আছে ওটা ।
পত্র খুলেই বুঝতে দেরি হল না...  
শীঘ্রই সাতপাকে বাঁধা পরছো তুমি ।
ঠিক হয়ে গেছে দিনক্ষণ ।      


এতদিনে খুব করে জেনেছি তোমায়...
কনে বেশে পরনে থাকছে  
রক্ত গোলাপের মত লাল শাড়ি          
কৃষ্ণকবরী জড়িয়ে রবে বেলী ফুলের মালা,
এগুলো প্রচন্ড পছন্দ তোমার ।
নাক জুড়ে নোলক
কপালে লাল টিপ                  
সিঁথির মাঝে টকটকে লাল সিঁদুর
করকমলে শাঁখা আর রাখি বন্ধন,
রক্ত লাল আলতায় রাঙাবে চরণ ।


তুমি হয়তো জানোই না ।
তোমার নিমন্ত্রণ পেয়ে                  
একটুও অবাক হইনি সেদিন !          
খুব বড় প্রেম ছিল বুঝি  ?                    
তাই ছিলনা কাছে পাওয়ার স্বপ্ন বিলাস,
ছিলনা তোমার হাত ধরে      
মুক্ত বিহঙ্গের মত করে
নীলাম্বরে হারিয়ে যাবার প্রয়াস !  
শুধুই ভালবেসেছিলেম তোমাকে !
নিগূঢ় নিখাদ সে ভালবাসা ।      
ভালবাসার চেয়ে বেশি কিছু দেয়ার ছিলনা তখন !
তাই বুঝি দূরেই রেখে দিলেম তোমায় ?
অথচ আকাশের বিশালতা
সাগরের গভীরতা ছাড়িয়ে        
একটু বেশিই ভালবেসেছিলেম তোমাকে  !
তুমিও তা জানতে...                
আর জানে শুধুই একজন
অগোছালো ফেরারি মন  !