যদি তোমায় অস্বস্তি দেয় আমার হাওয়া, নিজেকে পুড়িও না অনলে, বদল করো এবারের বসন্তে কাপড়ের ভাজ,
যদি কেহ কাঁদে পিছু তাকিও না মায়ায়।
রসাতলে যাবে তোমার ঐতিহ্য, গড়নের সূক্ষ্ম ভাজে নোনতা পানির দাম পরে যাবে শেয়ারের সূচক হতে,
অকালে ঝরে যাবে হাসি,তুমি তো খুশি নও হালচাষার ক্ষেতের রাধুনি হতে!
রক্তগঙ্গা বয়িয়ে দাও,পরানের উপর হাড়ি চড়াবো;
দু'মুঠো যদি নিবারণ করে খিদে,জলীয় বাষ্পে কফির স্বাদে মরুভূমি করে দিবো নিজের তৃষ্ণা!
উলঙ্গ রোদে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবো, হাড়ের ক্যালসিয়ামটুকুন মিশে না গেলে হলো পিচের রাস্তায়,
বিবাগী মানুষটা খড়ি পুড়িয়ে রান্ধন চড়াবে চালডাল একসাথ করে জগাখিচুড়ি,পেটে শান্তি দিবে না তোমায়!
শিয়ালের মুখের মুরগীটা ফিরিয়ে এনে অতিথি খাওয়ানোর চিন্তা তাহাকে নিচুজাত বানিয়েছে,পরতে পরতে খুবলানো স্বভাব, চরিত্র আছে কি?
এমন কথাবার্তা চাউর হয়েছে বৃন্দাবনের স্ক্রিপ্টে।
মহাদেশের এককোণে জলতরঙ্গের নাচন দেখে লাফিও না আর,আমি টেনে নিবো অতলে,সন্মান কোথায় থাকবে বলো? বলে নি কেউ?
যাযাবরের স্বর্গরাজ্যে আমার ফিকে হয়ে আসা জীবন,কতটা টিলায় আর,পাহাড়ের ঢালেই থাকে না কেউ!
যোজন যোজন এগিয়ে গিয়ে শর্ষে ফুল নাচে কেন? জিজ্ঞেস করতেই প্রেমিকা লম্ফ দিলো আকাশ নাগাদ।
তবু মায়া কাটেনি আমার, হেলে গেছি অর্ধেক শ্মশানে,
মৃত্যু স্বাদ চোখদুটো বন্ধ করতে দেয় নি আমায়, যেন তাকিয়ে আছে অনন্তকাল কাহারে দেখবে বলে!
তুমি ফিরো না হেথায়,মায়া বিয়োগ করে দাও যতটুকু থাকে তাহার যোগফল করি হাতের কর গুনে,
শুকনো জঙ্গলে আগুন লেগেছে, পুড়ে যাবে বাকিটা!






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
২০/৭/২০২০