আমি সজনের ডগায় একফোটা কুয়াশার জল দেখে জড়িয়ে নিয়েছি তোমায়,
ওদের মাখামাখি সকালের রৌদ্রকে দমিয়ে রেখেছে দুপুরের প্রখর অবধি,গাছের ছায়!
মরা গাঙে স্রোত বহে, এ ধারায় তুমি বহমান নদী হয়ে এলে,
মাছরাঙা আমি টুপ করে লুফে নিলাম দু'ঠোটের কোনায়।
রঙ্গিন ফানুশেরা উড়তে উড়তে আগুনটুকু দিয়ে গেল আমায়,
আমি আলো পেলাম শতাব্দীকাল বেঁচে থাকার।
পুড়ে গেলাম জোছনা রাত্তিরে তোমার আলিঙ্গনে,সে উষ্ণতা,অনুভব আজও জ্বালাতন করে আমায়।
ইন্দ্র দেবতা আমায় চাহনী দিয়েছে তোমাকে দেখে রাখার,আগের জন্মে নাকি তুমি তার প্রেমিকা ছিলে!
দেবতাদের প্রেমিকারা রূপালী চাঁদের মতন হয়,গঞ্জের নীরবতায়  দুষ্কর নয় আজ এ মাধুরির রূপ।
এ প্রেমের যাতনা সয়ে গেছে বুকে, ধুকপুকানি শুরু তখনই, তোমার ঘ্রাণ নাক অবধি পৌছাতে যতক্ষণ।
সমস্ত সত্যগুলো নাকের ডগায় ঘামের মত জমা হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র,
আমি মুছে যেতে দেই না প্রেম,লবঙ্গের নিসৃত স্বাদ মুখে পৌছাতে পৌছাতে
পৌঢ় দাদুর গলাকাটা পাঞ্জাবীটা তোমার হাতের সেলাইয়ে ক্ষতবিক্ষত হতে চায় বেঁচে থাকার শেষ দিনে।
আমি মৌসুমি ফলের মতন রঙ,রূপ,স্বাদে তোমার দুয়ারে ফিরে আসতে চাই বেখেয়ালে,
বটগাছের উপর থেকে নিচে শেকড়ের বেয়ে নামার মত।
একটু না হয় ব্যতিক্রম হলাম,হাজার বছর স্টেশনে দাড়িয়ে শেষ বগিটায় তোমায় নিয়ে গন্তব্য ঠিক না করে পলায়ন,
ঠিকানা পেতে এক বৃষ্টিস্নাত ভোরের!






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
২২/৭/২০২০