সেথায় তোমার বারান্দায় একটা ময়না পাখির খাঁচার পাশাপাশি এসে দাড়িয়েছি আমি চড়ুই,
তাড়িয়ে দেবে? ময়নার পাশে চড়ুই বড্ড বেমানান বলে!
আমি তো খাঁচার পাখি না,তবুও বদ্ধ থাকবো তোমাতে,মায়া অতীব সাবলীল যে ঘোর কাটে না,
উন্মুখতা প্রেম কি জড়োসড়ো হয়ে থাকতে পারে?
সৃজন অবধি চিন্তা ছিলো বিধির নয়তো এতটা মায়াকারা হয় কি!
চিবুক থেকে চোখ মায়া নাকি ঘৃণা জানি না আমি তবুও চাই তুমি দাড়াও এসে খাঁচার পাশে,
যদি নাইবা দাড়াও, খোলা রেখো তব খাঁচার দরজা,
একটুখানি এসে যেন পাপড়িরা বদ্ধ হয় পরস্পর বৈমাত্রেয় চোখাচোখিতে।
নীরবে এতকাল ধরে আমি যে তোমার টিনের চালের এককোনায় পরে আছি,
তুমি কি দেখনি?
এ যে কত জনমের অপেক্ষা।
চৌকাঠ পেরোয়ে কতটুকুই বা দূরত্ব অথচ এই ক্ষীণ পথ দুর্গমগীরি আরাধ্য, মন যাতনা করে,চোখ বহুদূরে আশ্রয় চায়,
নয়তো তোমার মায়ায় জন্মাতো না আমার সকাল।
গুটি পায়ে আমি তোমার বেলকনিতে রোজ,
অপেক্ষায় রেখো,শুধু মায়াখেলা খেল না সরলতার প্রতিকে।
আজ শত ভয় উপেক্ষা করে তোমার পাশাপাশি এসে দাড়িয়েছি,আমি চড়ুই;
একটা খাঁচার খোঁজে!
মুক্ত পাখি আজ বদ্ধ হতে চায় তোমার খাঁচায়।



নিটার, ক্লাসরুম
২০১৭