তোমার বিয়ের নেমন্তন্ন পাবো বলে এখনো বুকে আাশা জমাই,
টোপর মাথায় মুখে রুমাল গুজে দাড়াবো সুসজ্জিত গেটে! না হয়,তবে অন্য কেউ থাকবে,আমি দূর থেকে আর্শীবাদ করবো তোমায়;
হয়তো কষ্ট পুষবো বেশ সময় ধরে,যতদিন তোমায় মন না ভুলবে!
এহেন বাস্তবতায় তুমি ভুলে বসে আছো বহু আগেই।


তারপর,আমি দাওয়াত দিয়েছিলাম অনেক অংশ জুড়ে, শহরের বেশ কয়েকটা কমিউনিটি সেন্টারে ঢু মেরেছিলাম তোমার আসন হবে কোথায়;
এতবার গিয়েছি যে, শাড়ির দোকানগুলো সব পরিচিত মামা হয়ে গেছে, ঘরটা গুছিয়ে উঠেছিলাম একটু একটু করে,
অতঃপর- ঝড়ে, গহীন পদ্মায় নিয়ে গেল সব!
আমি নিজেই নেই,তোমাকে খুঁজে পাওয়া গেল না,অপেক্ষায় থাকলে না,গন্তব্যের মেরুকরণে কেবলই অদৃশ্য আমি৷


গরুর গাড়ি আর পালকির প্রচলন থেমে গেছে সেই আমলে,আমি চেয়েছিলাম তুমি সওয়ার হবে এই একবিংশ শতাব্দীতে!
আবার ঘুরে দাড়াবে পালকির বহর,নহর বসবে কাচা হলুদের;
কই তুমি চলে গেলে দামী বসনে চড়ে পুরো শহর।
আমার নেমন্তন্ন আশাহত হলো,দিক ঘুরে গেল জাহাজের,
নাবিক পরে রইলো মৃত হয়ে,ইঞ্জিন ঘরে!







নিরিবিলি, নবীনগর
৫/৮/২০২০