রূপকথা,লোককথায় আমি একটা প্রেম দ্বার করালাম!
জানে না চাঁদের বুড়ি, ধূর্ত শেয়াল খবর নিয়ে অত্যাধুনিক যুগে সাংবাদিক বনে যায় নি কারণ আমি তোমায় বলে কয়ে লুকিয়ে রেখেছি স্বযত্নে।
ঐদিন থেকে শিরদাঁড়া বেয়ে ঘাম নেমে যায় আমার পায়ের পাতা হয়ে মাটি অব্ধি,
শুধু শিহরণ আর ব্যাকুলতা।
চালাক রৌদ্র আমায় ঝলসে দিতে চাইলে আমি তোমার আলো বাড়াবো বলে মেনে নিলাম সাঁকো পার হতে,
এভাবে দিন যে আমায় তোমার করে দিলো।
কখনোই তোমার চোখ বেয়ে পানি নামুক এটা চাইনি বলেই দু'হাতে ছিলো মোর অশ্বের তরবারি!
ঠেকিয়ে দিয়েছি অসংখ্য ভর্ৎসনার বাণ।
তার বহিঃপ্রকাশ হয় নাই আজো যতটা স্রোতে ভেসে গেছে মূল্যবান সময়,
আমায় দিয়েছিলে রঙিন দুনিয়া যাহার বহুব্রীহি এখনো অনাবিষ্কৃত।
একাকিত্ব বালিশখানা জানে কতটা ভাজে তারে থাকতে হয়েছে এই প্রেম টেনে নিতে,
সবটা তুলায় জমা হয়ে আছে গোপন কথামালা,ইচ্ছে হলে নথি আাকারে প্রকাশ করতে পারে,
এই পৃথিবী বদলে যাবে এই প্রেমের গভীরত্ব জানলে।
আমি একটু গোছালো হলাম, নিজেকে পরিপূর্ণ লাগতে শুরু করলো, কত হাতছানি ফিরিয়ে দিয়েছি তাই।
একটা ভেজা শালিক আমার সঙ্গী হয়ে গেছে রটিয়ে দিলাম কোকিলের সুরে,
জানো,ফারাক্কা বাধ ভেঙে যাক, টিপাইমুখী ছুটুক অজস্র জল নিয়ে আমি তোমায় নিয়ে ভেলা ভাসাবো অজানায়;
এতটা বাজে পাগল হয়ে আমি ছিলাম নির্জন জঙ্গলে।
রাত পাহারাদার হয়ে আমি উপেক্ষা করে গেছি নিজেকে,এই বৃষ্টিবিলাশ মেয়েটা জীবন আমার জুড়িয়ে দিয়েছে।
এক জন্মদিনে লক্ষীর বাহন হয়ে গেলাম আমি,তোমাকে চড়িয়ে ডিঙি নায়ে আমি পাল তুলে দিলাম, চলুক না ঠিকানায়!
এরপর প্রেম ডানা মেললো,
পুরো পৃথিবী নিজের মনে করে ক্ষুদ্র সময়টা বন্দি করে নিলো ফ্রেমে,
বাতিগুলো জ্বলছে, প্রেমের নগরায়ণ হলো!
হাতগুলো তবু মুঠোবন্দি করা একটার পৃষ্ঠে আরেকটা।
এই ডিঙি অনন্তকাল চলুক, ঝড় না উঠুক নদীতে,
মোহনা ডাকে,তবু আসো ভালোবাসা জমা করি গভীর সমুদ্রে!






নিরিবিলি, নবীনগর
২৬/৭/২০২০