নতুন একটা গ্যালাক্সির সন্ধান মিলেছে পৃথিবীর কক্ষপথে!
ঘুর্নায়মান অবিরত বিদ্যুতের চমকপ্রদ তথ্য সংগ্রহ করে জমা রাখা যার কাছে,সে হাটে আমার কক্ষপথে,ঘুমোয় আমার মাচানে!
তখন পৃথিবী থমকে যায়।
সে অমাবস্যার পূর্নবাসন করে তার রূপে,চুল তার ভিজে যায় শিশিরের আবেদনে,
তাহার খোঁপা জাগলে সূর্যমুখীর মত হাসে!
কিঞ্চিৎ কপাল বেয়ে নেমে আসা ঘাম স্পর্শ করে ব্রুর বাঁকানো শেষমাথা, এক অনিন্দ্য মায়া তার বেহেশতী কপালে।
বাঁশরী নাক তাহার নিঃশ্বাস নেয় ইতিহাসের সবথেকে শুদ্ধ বায়ুর,অক্সিজেন যেন জমা হয় এর আশেপাশের চৌমুহনীতে,
আমি নির্মল নিষ্পাপ একজীবন বেঁচে যাই।
শোন হরিণী কাজল চোখের মেয়ে,আমার দিবস কাটে যে তোমার পাপড়ী চেয়ে,
চোখের জলে ডুবিয়ে দাও আবার নতুন করে জন্মাই!
কর্ণে তাহার দোদুল্যমান দুল চিকচিকে স্বর্ণালী রোদ গ্রাস করে,
মুখাবয়ব জুড়ে লেগে আছে মায়া আর মায়া,স্বর্গের উপস্থিতি নিয়ে একখানা অমরাবতী হুর!
চেয়ে রই,চেয়ে রই,বাঁচি আরো দু'দিন।
আমি স্বর্গ সিড়ি গলাখানা বেয়ে নেমে যাই এক প্রসস্থ বুকে,যার মায়ামন লুকানো হেথায়,
বাঁশঝাড়ের মত শিকড় দৌড়ে মাটির মত শান্ত পরান হয়।
শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেছে এক জীবন্ত গাছ,ঘুমন্ত কপাল রেখে সোজা হয়ে দাড়িয়ে পরা অক্টোপাসের আক্রমণ এ বুকে,
সেও চায় আমি এই গ্রহের নভোচারী হই।
কোমড়ের ভাজে বিছা খুঁজে হয়রান হই আমি, অণুবীক্ষণে ভারত মহাসাগরীয় ঢেউ জমে ওঠে আমার খেয়া মনে!
তোমার চলন দেখি ডুবুরি বেশে।
এই সহস্র বর্ষী ছায়ার একখানি নিরেট শিকড় বিধে গেছে মনে, তোমার পায়ে ভর করে আমার পৃথিবী,
পাদুকা চুম্বন করে এই বটবৃক্ষের পাতা!
এই অস্পর্শ্য গ্যালাক্সি আমায় জড়িয়ে নিলো সৌন্দর্য কক্ষে,এখানে কলতান হয়, কুউহু ডাকে, সাড়া দেয় নতুন ভোর।
আমি স্বর্গ দেখি চোখের আয়নায়,একটা একটা করে তারা জ্বলে ওঠে,আমি বর্ষ মাপি কত হলো বসন্তের বয়স!
এই গ্যালাক্সি আমি বহন করি,আমার পাদগ্রন্থি তাহার ওজন মাপে,কক্ষপথ চষে বেড়ায় স্থির হতে,
যেমনটা বর্ষাবিধৌত শাপলার লতা যত গভীরে পৌঁছে দিয়ে খামি খাওয়া যায়।
এই দেহ বিশেষণের একঅংশে আমি পৌনঃপুনিক বসিয়ে দিয়ে,
পুরো পৃথিবীকে সৌন্দর্য পরিমাপ করতে দিয়েছি তোমার,
হেরে গিয়েছে বিজ্ঞান।
শুধু আমি জানি,আমি জানি,আমিই জানি,আমাকেই জানতে দাও!






নিরিবিলি, নবীনগর
২৯/৭/২০২০