না জেনে করিয়া করমর্দন কুর্নিশে মেখে আছে ব্যথিত হৃদয়,
একটা চাকা অতিক্রম করেছে বিশাল পাহাড়ের, ক্ষয়ক্ষতি অনুমেয় না হলেও প্রযোজ্য তাহা শরীরে!
অলক্ষ্যে ক্রন্দন যাহার হাসি হয়ে গেল লেকের পানির মত স্বচ্ছ,
লুকোচুরি মাছটা কোথাও সেকেন্ড সময় নীরব হতে পারলো না,অন্য কারো ভোজন হওয়ার আগে।
গায়ত্রী, ধরাধামে ইক্ষু রসবোদ যে চৈত্রসংক্রান্তি অবধি পুটলি বেঁধে রাখা দায়,
হেসে উঠিল কলসির মুখ, তাহার গতরখানা কত বড়!


কোথাও আলো নেই, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ উবে গেছে কু'
মঙ্গলগ্রহ ছড়ায় আলো বিহানে,উল্টো ঘোলা চোখ!
চলন যাহার ভাদ্রের শুক্ল সপ্তমীতে গিয়ে ব্রত করে তাহারে ছেড়ে অশ্বত্থবৃক্ষে ঔষধি ধারণ করে কেমনে?
সবকটা পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে, চিবিয়ে দাও একমুঠো দূর্বা ঘাস,ক্ষত সেরে উঠুক না হয় কিছুটা।
তুমি গৃহস্থ হয়েও জাত-পাতে আঁটকে রইলে মরা মাছখেকো সাপের মতন কারেন্ট জালে,
সবতো ভোজবিদ্যা নয়; দধিটা যে দুধের পচন,মানো আর নাই মানো!


কাব্যতার নাগালে নৈশপ্রহরীর একটা চিরাচরিত মাখামাখি আছে,
গায়ে লাগিয়ে মেহেদি পাতার আবরণ একটু জীবন্ত হয়ে উঠি গাঢ় রঙের ধাঁচে।
ফের বেহুলার হুশ হয়ে ওঠে লক্ষ্মীন্দর তো নিস্তেজ হয়ে আছে,এমন কাহাতক বিনিয়ে মন্ত্র পড়ার ধৈর্য্য আছে বেহুলার?
শাস্ত্রে লেখা ছিলো না, শৈবাল গাছ নাকি পরগাছা!
এসব পৃষ্ঠা নৌকা হয়ে ভেসে যাক,মিশে যাক লবনাক্ত সাগরে
হুম! প্রকৃতি চাইলে আমি জেগে উঠবো বেহুলার বাসরে।






নিরিবিলি, নবীনগর
১৯/৭/২০২০