আজ ভাবতে বসেছি,কবিতারাও ভাবে,কবি তো ভেবেই গভীর রাত খুন করে!
আপনিও একটু ভাবুন তো;
একটা মহামারী ধ্বংসস্তুপে আটকে আছেন অনেকদিন ধরে,অনিশ্চয়তা দিনদিন গাঢ় হচ্ছে,বেঁচে আছেন সার্বক্ষণিক করুনায়।ঘোর অন্ধকারে সার্চলাইট টা হারিয়ে আছে বিপাকে,দরজাগুলো অস্বাভাবিক বন্ধ হয়ে গেছে, জানালা মহুয়া ওড়না উড়তে উড়তে এসে আটকে দিলো, দম বন্ধ! নেই ছুরি,কাঁটার কিংবা কোন যন্ত্র,বেরসিক সব।
বেরুবার কোন পথ নেই,কথা বলার যন্ত্রটার আয়ু ফুরালো বলে,সিগন্যালের বাতি নিভু নিভু, খাদ্য কাল থেকে আসবে না! আপনার দমটা অসহ্য পর্যায়ে কাতরাচ্ছে।
কি করবেন? ভাবুন তো! হ্যাঁ,ভাবতে হবে,বাঁচতে হবে,এই জঞ্জাল,বিরূপ প্রকৃতির সাথে সখ্য গড়ে।


রাতের গভীরে কবিতার বিষয়বস্তু কবিকে জাগিয়ে রাখে!
যখন রাতটা গভীর হয়,
পাষণ্ড কর্তৃত্ব খুন করে দোসরদের, পাশবিকতা আধাজলে ঘোল খায়।আকাশের তারারা বুড়ো হয়ে খসে পরে কয়েকটা,শিয়ালেরা ডাক তুলে হুক্কা হুয়া,আর বাচ্চাটা স্বরবর্ণ,ব্যঞ্জনবর্ণে সুর তোলে মায়ের সুরে।এতকিছু ছাপিয়ে মনের তীরে আছড়ে পরে এক কলসি নোনা জল,যা হৃদয়ের গণ্ডিতে চোখের ফোঁটায় গড়া।
জীবন এক লুকানো গর্ত, প্রতারণা, জুয়ার গুটি,ছলনার সমাহারে হাট বসেছে।
কি ভাবছেন? দিন ভালোবাসে?  না, তার আপন বাসিন্দা হতে গেলে রৌদ্রে পুড়তে হবে। পিঠ এলিয়ে দাও!


কবিরা যন্ত্রণা নিবারণকারী বলেই জানি,
মহুয়া কপালে চাঁদ আঁকে, স্মৃতিকথা প্রামাণ্য ইতিহাসে স্থান পায় কবিতার ঘরে।
এতসব বাদ দিয়ে, যদি যন্ত্রণার পদধ্বনি শুনতে পেয়ে প্রিয়জনকে কাছে না পাও, নদী ভাঙনের ফাটলে পা হরকে যায়, নীল আকাশখানা কালো মেঘে ছেয়ে গিয়ে বন্যায় তোমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়, এই চৈত্রে অনাবৃষ্টিতে কষ্ট পাও, একটা না পাওয়া প্রতিমার জন্য কষ্ট পাও, যদি স্মৃতি ডানা মেলে কোন বৈশাখে, তবে ভয়ে কুঁচকে যেও না, একটা ভালোবাসা প্লেকার্ডে রেখে প্রবল আন্দোলনে অগ্রসর হও!
দাবী করো তুমিই প্রেমিক, তোমাতেই ভালোবাসা!






নিরিবিলি, নবীনগর
১৫/৭/২০২০