পাণ্ডুলিপির ছাপায় কবিতার আদ্যক্ষর লেখা শুরু
সেই কবে হাতে খড়ি,ঠিক জানা নেই পারিজাত মনের।
এই চাপ কবি কখনো নেই নি,কারো মনপুত হবে কবিতার সুর এমনটা অস্বাভাবিক ভেবেই  ক....বি....তা লেখার প্রচেষ্টা!
একদম নিজ গ্রহ থেকেই কবিতা আমায় ডেকেছে।
এই জন্মে পারগত হবো বলে ব্রতান্তে ভোজন করি না,সাহিত্যের ঔরসে কবিতার গর্ভজাত কবি,পায়রা হয়ে উড়তে চাই।
আমি বনবাসে গেলাম!


ফিরে এলাম এক ক্ষুদ্র সাহিত্যের পাঠক হয়ে,
উপস্থিতি টের পেলাম হৃদয়অঙ্গনে প্রণয়ের_ তারপর তুমি কৃষ্ণাষ্টমীর!
আটকে গেলাম স্ফটিকের পেয়ালায়,এই গুহায় বক্রাক্ষি মানবী বাস করে,
চক্ষু মেলিলাম এই ধারায়,হয়ে গেলাম প্রেমিক কবি।
আমার ধ্যান,জ্ঞান,কাব্যিক অংশে অংশে তোমায় বিশ্লেষণ করি,
এই মানবীর তাজা মুখাবয়ব ডায়রীর পোষ্টারে,বুকে চেপে রাখি ডায়রীটা,
কবিতারা হৃৎস্পন্দন শোনে আমার।


কৈবল্য হবে কি আমার?
পালাবার দেশে প্রিয়ার আঙ্গুলি ডাকে আমায়,আদায় করে নেয় কাঁচকলা দেখিয়ে পুরা প্রেম!
প্রেম তো দু'টো আমার, কবিতা আর তুমি।
সাধ্যি আছে কি? কেন্দ্রাভিকর্ষণী শক্তিতে টেনে আনা তোমায়,প্রয়াস যতই থাকুক না মাথায় তোলা।
যদি তৃপ্ত হয়ে যাও,পক্ষীরূপে উড়ন্ত হয়ে ভুলে যাবে কি এই ন্যায্য উষ্ট্রের খোঁয়াড়!
হাইতুলে আজ-ও বেঁচে উঠি তোমার প্রেমে।


এতটা হেঁটে অবশ্যই কিছুটা ক্লান্ত, নিগুঢ় বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আমার এসব কবিতা হয় না!
তাই প্রিয়তমা ডাকে না আর আমাকে,আমায় আবৃত্তি করে না।
এই নিবেদন কার জন্য জানো?
ভালোবাসার শিকড়টা আরো গভীরে পুঁতে দিতে দিতে টের পেলাম প্রেমটা মরে গেছে,
জ্বালানি বানালে তোমার চুলোর, তুমি তাই চাইলে!
একটু ভাবো.......
হাওয়ায় লাগিয়ে পাল এবার ভিড়াবো তোমার দুয়ারে তরী,আকাঙ্ক্ষা আর তৃষ্ণা নিয়ে আকুল দীর্ঘশ্বাসের নিহাস টা নিও,
কবিকে নাইবা ভালোবাসো,আপত্তি নেই
না হয় মোর কবিতাটাকেই ভালোবেসো।






নিরিবিলি, নবীনগর
১৭/৭/২০২০
শুকুরসী, ঢাকা
৭/৩/২০১৩