নিশিথিনী জাগে নীরবতার খেয়া, দু'একটা কুহু কুহু ডাক
অচেনা ভারী নিশ্বাস নিচু হয়ে বুক বরাবর হৃদপিণ্ডের আওয়াজ
নীরবতা ভেঙে চৌচীর করে ফেলে হঠাৎ কোন মধ্যদুপুরে।
তেজদীপ্ত রোদ তৃষ্ণার্ত করে তোলে বুকের ছাতি
তবুও শীতলতা যে বটগাছের ছায়।
খেয়াপারের এক তরুণীর বৌছি খেলার সুর, নূপুরের রিনিঝিনি
আর মাটির কলসির বটতলায় ঠায় দাড়িয়ে নিশ্চুপতা,
যেন পালে হাওয়া লেগেছে উত্তরীয়।
শুনশান নীরবতায় তোমার মায়ায় আটকে গেছে
ঐ বটতলার রাতের ঝিঝিপোকা,
অগোছালো ভাবে জ্বলছে ওরা নৌকার পালে।
খোটের কোনায় গোছানো একছড়া চাবির গোছা
যেন দীর্ঘ কত যুগের আক্ষেপ,কৈশোর ছেড়ে যুবতীর উঠোনে পদার্পণ
টেনেটুনে কোনরকমে লজ্জা নিবারণের চেষ্টা অহেতুক বাড়াবাড়ি,
যুবতীর শরীর কি ১২ হাত কাপড়ে ধরবে নাকি ?
কাজলের লেপ্টানো আভা,খোপার একপাশে গুজে দেয়া নীলাম্বরী
এত প্রেম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রকৃতিতে,
যে মায়ার চাদরে পশ্চিমা হাওয়া মাখামাখি ।
দোচালার ঝুপড়িও যে এতটা টানে ফেরার ছায়ায়
অমিমাংসিত দুই সত্ত্বার লুকোচুরি গড়মিলে করে দেয় তা।
দোপাট্টার ভাজ আর চোখের পাপড়ী যে মায়া কাড়ে
তাতে ভাঙাদ্বোর দিয়ে জোছনা ডুকছে আমার বাগদত্তা কুটিরে।
কানাকানি ক্রমশ বাড়ছে বটের পাড়ায়
নির্ঘাত কোন বশীকরণ কবচ লটকায়ে দিয়েছে নাভীর গোছায়,
তিলশুদ্ধ গোটা লোকমুখে এ নিন্দার ঝড়
অথচ ভাবলেশহীন লাজুকতা ছেয়ে আছে মৃদু হাসিতে,
এই সেই খেয়াপারের তরুণী।



নিটার হল
রুম নং -১০৮
০৫/০৪/২০১৪