চিন্তিমতমনে, ক্ষীণতাস্বরূপ কি লিখছি তার সারমর্মটুকু আমার জানা নেই,
তবে কাঠপেন্সিলটা অনবরত ! কিছুটা নিশ্চুপও,ভাবতে হচ্ছে, অদ্ভুত না ব্যাপারখানী,
থাক আর ঘোরপ্যাচের কোন বালাই না রেখেই  বলছি-
নভোরজঃ ভেদ করে দুহিতা দ্বারগোড়ায়।
ভাদ্রমাস আসন্ন কিন্তু বসন্তের সুবাস পরিপক্ব !
করনীয় কিছু ভেবে পাচ্ছি না,
জীবন জুয়ারী হয়ে গেলাম তপতীর জন্য
তবে কি জুগুপ্সিত হব কি ?
আপাতত সব ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বেখেয়ালে নিশ্চুপ !
আমার ভাষা বল, কর্ম আর দৃষ্টির শেষসীমানা বল,দৃষ্টিগোচর শুধু তুমি।
কেন এমন হল,মনের নিশ্চয়তা হঠাৎ-ই বেগবান কোন বেখেয়ালে ।
আমি সদোত্তর মেলাতে চিন্তিত নির্বিগ্নে-
তপতীর উদয় হল মনের কার্নিশে, ভাবলেশহীন চিন্তায় কিছু জানান না দিয়েই,
তন্ত্রবাপ এর উপস্থিতি ঠাহর করলাম মনের রঙিন ফ্রেমে,
কত যত্নেই না সুতার কারুকার্য দিয়ে কাপড় তৈরী, যা সৌন্দর্য শোভা।
তন্ত্রবাপ হওয়ার ইচ্ছেটা প্রবল !
যতটা যত্নে সুতোটা গাথে কাপড়ের নিখুত ভালোবাসা পাওয়ার জন্য,
আমিও গড়বো.......
তাজমহল কিংবা সাধ্যের সর্বোচ্চটা।
ত্রিদিব হতে ত্রিদিবেশ আমায় ভবিষৎবানী করলেন,
পথটা ঘুটঘুটে ঠিক অমাবশ্যা !
একটু কালক্ষেপন না করে তপতীর জন্য তপনতনয়ার তটে বসে,
তপঃতে মগ্ন হলাম, কি অদ্ভুত ; তমীনাথ আজ আড়াল
একটা তমোমণি কোত্থেকে এসে আশার বাণী শোনালো,
তপতী ঠায় দাড়িয়ে নিশ্চুপ।
এত তপস্যার পরে যার ঠিকানায় আমার নোঙর,
তাকে কি করে হারাই বল ?
অনেক অমাবশ্যা পার করে যে পূর্নিমার দেখা পেলাম।



শুকুরসী, ঢাকা
০৪/০৩/২০১৩