উঠানের দক্ষিণ কোনে এক তীলকলক্ষ্মী রমণীর চুল মেলে দেওয়ার মুহু মুহু গন্ধে প্রলাপ বকছি পাগলের,
আমার জন্য উত্তম একটা বায়স্কোপের সন্ধান
যেথায় আমি সর্বস্ব ধারণ করবো।
পিঠেপুলির গন্ধে তোমার হাতের গুনবাচক ক্রিয়ার প্রকাশ ঘটে,
নাকের ডগা আর কপালের ভাজের ঘামকণা মুছে দিতে আমি তো আছি সবিনয়ে
তুমি মুগ্ধ করো আমার সংস্কৃতি, আমার চারিপাশ।
এতদা তোমায় নিয়ে তৈরী হবে ছোটগল্প, লেখক বনে যাব আমি
যেমনটা তোমার নিজস্ব কবিতার কবি আমি।
নতুন রচিত গ্রন্থে তোমায় উৎসর্গ হবে ক্ষীণ প্রেমের প্রতিশ্রুতি
পাতায় পাতায়, লেখার বাহুকলে তুমি হবে লুকানো সারমর্ম,
আমি তোমায় তেমন এক সহজ রমণীর রূপে বাক্যজালে আটকে দিব,
পাঠকের মগজে বোধগম্য হয়ে উঠবে তুমি।
গ্রাম্যধর্ম তোমার মাঝে বিস্তার্য হলে রূপান্তরিত হবে এক নতুনত্বের
বিকেলের পাতাছেড়া অথবা সকালের চিবুকটানা রোদে
তেপান্তরের সোনালী আভায়, লেখকের বুকে তুমি হবে হলদে পাখি।



হিরাঝিল, নারায়ণগঞ্জ
৯/২/১৭