একটা বিপজ্জনক রাস্তা,
সাঁকো পার হতে গিয়ে নিচে জলের তলে একহাত বাড়িয়ে কে যেন ডাকছে,
আয়! আয়!!
দাদীজানের মুখে শুনেছি এই জলে হাফপ্যান্ট পরে কত ডুবিয়ে ডুবিয়ে শামুকের খোল তুলেছে,
মিছে ঘর সাজানোর জন্য,তালপাতার ঘর অথবা কলাপাতার সাজনা প্লেটে খাওয়ার পরে হরদম উল্লাস।
এরপর একদিন এই জল বান্ধবীকে নিয়ে গেল!
বলছিলেন দুঃখ বুকে চাপা নিয়ে দাদীজান।
জলের চিকচিকে দৈত্য!  


বাড়ির কোনে কি একটা তাবিজ পোঁতা শিশিতে ভরে,
এই এক দাদাজানের গল্প,
গা ছমছমে, সাদা কাফনের কাপড়ে অনেকদিন ধরে বসবাস করে পূব কোণে,
বেলা গড়ায় ও পশ্চিমে অস্তাচলে যায়,এভাবেই ঘুরে ফিরে আবার পূব থেকে ফিরে আসে সে।
দাদাজানের দুঃখ, এই গেছো ভূতটা সাঝসন্ধ্যায় দাদীজানকে একবার তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল।
ফকিরের ফুকে সম্বিৎ ফিরে এসেছিল সেদিন,তারপর আর কখনো একা ছাড়েনি,
এইসব-ই প্রেম।


জালনৌকা বাওয়া মাঝি,
নদীর সাথেই সখ্যতা, সেই মাঝরাতে কাঁচাঘুম ভেঙে ব্যস্ততা শুরু হয় আবার ফিরে গভীর সন্ধ্যায়।
মাঝখানে এক কেওয়াবনে জারুল গাছের তলায় অতিসুন্দরী একজন রমণী ছিলো,
তাহার প্রেমে মজিয়া সাধুসঙ্গ হইলো ছাড়া, এই ঘটনা কস্মিনকালেও কেউ জানলো না,
একদা খেজুর গাছের আগায় তাহার ধরখানা আবিষ্কার করিলো গাঁয়ের লোক।
তারে নাকি শাঁকচুন্নি ধরেছিলো, গল্পকথা নয় সত্যি!


কৃষকের আস্হাভাজন ক্ষেত,
তাহার গোয়ালের সবকটা গরুর চরণ ছিলো, কিছু সময় ফসলের সমাহারে পরিপূর্ণ ক্ষেত তাহারে জ্বালাতন শুরু করিলো,
এই গরু কেমন জেব্রা হয়ে গেল, ভয়ে ভৌ দৌড়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া কৃষকের আর জ্ঞান ফিরে নি!
কৃষাণীর ভার করা মুখে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আটকে ছিল,
এ কোন অশরীরী আত্মা।


এই প্রকৃতি বহুরূপী,
ফল থেকেই গাছের দেখা পাই আবার গাছেই ফল শিশু হয়ে জন্মায়!
এই চক্রাকার নিয়মে কতকিছু ভূত হয়ে যায় তাহা প্রকৃতি আর তার শাসক জানে।
কেন,কার পিছনে কে পরে আছে তাহা দৈবঘটনা অবলোকনের মতন, কেই জানে না কে আছে।
শুধু অশরীরী আত্মার মতন কিছু মানুষ আছে, ক্ষতিকর!
একপা যে টেনেই রেখেছে,এরা ভূতের চেয়েও ভয়ংকর।
সারাক্ষণ চায়,মৃত হও; তোমার ভবিষ্যৎ গন্তব্যের আগেই।





স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১৬/৭/২০২০