এতটা প্রস্তর যুগেও ঘটেনি,যাহা তাহার মনে ছিল গেঁথে!
কয়েক প্রলেপ চামড়ার নিচে লুকানো মনের খোঁজ কি এতটা অসাবধানতায় পাওয়া যায়?
অসাবধানতা! বলতেই হয়;
পরিষ্কার আকাশে ছিলে তাই কখনো মেঘ জমা তোমাকে নিয়ে ভাবিনি।


কি সব আবদার ছিলো, কুঁড়ে ঘরের ছাউনি এনে দিবে এই শহরের পালঙ্কে!
আমি না ভেবেই বলে দিলাম, আচ্ছা।


তারপর,সেটা হোগল পাতায় মুড়ানো যেন হয়,মাঝখানে খালি রেখো- আকাশ দেখবো,
আমি বললাম,আচ্ছা।


মেঘ আকাশ, দেখবে না সে,আলোয় মুড়ানো রৌদ্রময় আকাশ, রাতের থকথকে মাখানো আকাশ,চাঁদ আর তারার বাহার,
যেখায় লুকিয়ে থাকবে, চাঁদের বুড়ি,তোমায় আমায় গল্প শুনাবে।
আমি এবারও না ভেবেই বললাম, আচ্ছা।


একটা পেখম মেলা ময়ূরের সাজানো সংসার যেমন হয় ওমন ভবিষ্যৎ চাইলে,
ছোট্ট একটা হরিতকী গাছ চাইলে ঝুল বারান্দার সামনে,আমি সেদিন রাতেই বিজ লাগিয়েছি;
এখন পরিপূর্ণ একটা সভ্যতা হয়ে দাড়িয়ে আছে অপেক্ষায়।
আমি কিন্তু এ-সব ও না ভেবেই বলেছি,আচ্ছা।


পাহাড়ের সবুজ বৃক্ষ বেয়ে উঠে আসা লতায় মালা বানিয়ে বলবে, আমায় নিয়ে যাও,
পাতায় লতায় মিলিয়ে হৃদ্য মনের বাহন হবো আমি,কুসংস্কার দূর করে দেখাবো, প্রেম সুখি হয়!
এই আবদারের অপেক্ষায় ধনুক হাতে ছিলাম তোমার পাদদেশে,
আমি বলার সুযোগ পেলাম না, আচ্ছা।


বরং শেষ আবদারটা অনিন্দ্য তেঁতুল মাখানো বাটিতে ছিল,
আমি ভাবিনি এই মুখ নামঞ্জুর করে বলে দিবে,
চলার পথটুকু সামান্য দূরত্বে শেষ করতে হবে!
আমি অতসব না ভেবে এবারও বলে দিলাম,


আচ্ছা প্রেম,আচ্ছা তাই হবে,তবু তুমি সুখি হও।








নিরিবিলি, নবীনগর
৬/৮/২০২০