অনন্যা এখন মুক্ত আকাশে ডানামেলা স্বাধীন রমনী
কারো ধরা-বাঁধা বেষ্টনীর প্রাচীরে বন্দি কয়েদী নয়।
একদিন তার চোখের তারায় দেখেছি স্বপ্নময় অনুরাগের স্ফুরণ,
তীর্যক সূর্য কিরণের মত স্পষ্ট আলোক রশ্মি-
ভালোবাসার অনলে ভাসিয়ে রাখতো আমায়,
পাখি যেমন পরম যত্নে বুকের উত্তাপে আগলে রাখে ডিমগুলো,
ডিম ফুটে ছানা বেরুলে নরম খাবার যেমনি করে তুলে দেয় ওষ্টে ওষ্ঠ রেখে।
এ বন্ধন বড় নিবিড় - বড় জোড়ালো,
যা সহজে ছিন্ন হবার নয়,
নিখাদ সে বিশ্বাস আমাকে কংক্রিটের মত বদ্ধমূল করেছিল,
মশ্রিণ সে ভালোবাসার জমিন যেনো সবুজ কার্পেটে মোড়।
অথচ - আজ সব কিছুই কেমন বিপরীত মেরুতে,
তুরষ্কের ভূমিকম্পে মত বিধ্বস্ত-ধ্বংসস্তূপের বিভৎসতাকে হার মানায়।
বিশ্বাস করতে বড় কষ্ট হয়,
মরা চন্দনার বুকে নির্বিচারে আবাদ হয় ফসলের
চন্দনার কষ্টের আকুতি কেউ অনুভব করেনা
কতটা যন্ত্রনায় কাতরায় -
নিঃশব্দ  কষ্টের সে প্রতিধ্বনি কেই শোনেনা,
আমার বুকেও তেমনি বিরহের কষ্টগুলো শেলবিদ্ধ করে
অবিরাম রক্ত ঝরে, হৃদয় গহীনে গিরিখাত তৈরি করে -
আর কারো নয় যা একান্ত আমারই অনুভবে।
             ***