[তথ্যঃ-শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন,  বংশী ও বিরহ খণ্ড।
বড়ুচণ্ডীদাস।]


।।
কৃষ্ণর বাঁশী বাজে যমুনা তীরে  কিম্বা মথুরা হাটে,
রাধিকা মাতোয়ারা, পাগোলপারা তাহারী সুরে।
কে সহিবে, কে কহিবে রাধিকারে তব,
আহ্ হা, কেমনে পাইবে দেখা রসিকে তাহার;
কোথা আয়ান সে তালাশ করিতে তাহার কি'বা আসে যায়।
ওগো বাড়াই আয়লো ছুটি -
চল দেখি সে সুর পানে ধেয়ে।
ঘন আঁধার নামে নিশিতে আজি
অরণ্যে শ্বাপদ সংকুল-
তবু নাহি ডর এক পল হৃদয় কোনে।
কহিসনা কেন মোরে?
বিলম্ব নাহি করিও -
ত্বরা করে চল বিন্দাবন মোর কানাইয়ের তরে।
ওগো বড়াই লয়ে কাঁখে কলসী
যাও যমুনা তীরে ধীরে
কানাই বিরহে রহিতে পারিনা কিছুতে।
এ কী সুর!
এ কী মধুর ধ্বনি লো বড়াই
আমি আজি ধ্যান জ্ঞান সবই তো হারাই।
     ***