বহু প্রতিক্ষার পর দেখা হলো ক্ষণিকের তরে-
তবু কোনো কথা হলোনা,
বিপরীত পথচলার ক্রসিং এ হঠাৎ মেঘ বিহীন বর্ষণের মত;
মেরুন রঙেয় জর্জেট শাড়িতে বেশ লাগছিল তোমাকে
গোলাপী লিপিস্টিক মাখানো ওষ্ঠের বাঁকা হাঁসিটা এখনো স্পষ্ট চোখে ভাসে;
ভ্যানের ডান পাশে তোমার পাঁচ বছরের আত্মজা,
পরম আদরে পিঠে হাত রেখে বসে আছ।
কাজল রাঙা চোখের চাহনি তোমার বেশ মায়াবী স্ফুরণ;
মাত্র কয় সেকেন্ড, তবু মনে হয় কত সহস্র বছর ধরে দেখলাম।
কৈশোর আর যৌনবের অনেকটি বছর কেটেছিল যেখানে,
আমার পদ চিহ্ন যার পরতে পরতে মিশে আছে,
বন্ধু আর শিক্ষকের পদভারে যেখানে কেটেছিল সোনালী দিন ;
সেখানেই দেখা পাবো এ ভাবিনি কখনো।
সেইদিনের বন্ধুরা এখন আর নেই,
এমনকি সেই শিক্ষকেরাও,
তবু থেমে নেই পাংশা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মূখরতা,
বেড়েছে অগণিত শিক্ষার্থী,
চন্দনার পাড়ে সুরম্য আধুনিক অট্টালিকা সগর্বে দাঁড়িয়ে,
কপোত-কপোতির মত নতুনের কী দারুন আস্ফালন।
জানি অনন্যা সেখানে ফিরে যাবার পথ আর নেই,
প্রকৃতির  নিয়মকে তো আর অস্বীকার করতে পারিনা,
তবু এইটুকু প্রশান্তি বহু প্রতিক্ষার পর তোমাকে দেখেছি,
আমারই প্রিয় সোনালীদিনের স্মৃতি ঘেরা সেই পথে,
এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি বুঝি আর পাবোনা খুঁজে।


                ****