[#_তথ্যসুত্রঃ_শ্রীকৃষ্ণকীর্তন_বিরহ_খন্ড]
।।
অনলে পুড়িয়া মরি সহিব আর কেমনে
বড়ায়ীগো তবু যে এলোনা মোর বনমালী।
তব স্বপনে দেখিনু তারে, আসিয়া মোর দ্বারে
কত আদরে সোহাগে চুম্বনরসে মজিয়ে কোথা গেলো সে?
যেথা মুই চাই-কোথাও বনমালী নাই,
কাহ্ন বিহনে মোর অঙ্গ জ্বলিয়া যায়,
মাঘ কাটিয়া গেলো-চৈত্র আসিয়া বসন্ত সৌরভে ভরিল
আর কত চাহিয়া থাকিবো, কিসের মোহে লো বড়ায়ী-
এ ভরা যৌবন বুঝি বিফলে গেলো।
ওকি বাঁশরীর সুর - বাজে কি সুমধুর ঐ অরণ্য মাঝে,
কহিলি তুই মোরে শয়নিলাম কদম্বতলে,
এ ভরা যৌবনরসে মিলিবে গভীর তিয়াসে
পড়িয়া বিলাস বসন আসিবে নিভাতে দহন
হস্তে লইয়া সুমধুর বাঁশরী মোহন।


ওগো বড়ায়ী, কি ভুল করিয়াছি আমি
তাম্বুল না হয় ত্যাজিয়াছি;
ক্ষমা আমি চাহি তার চরণে
তবু তাকে আনিয়া দে,
এ প্রতূষকালে বহিছে দখিনা মলয়
ডাকিছে কোকিল কুহুতানে -
বড়ায়ীগো আর যে পারিনা সহিতে বিরহ জ্বালা
এনে দে মোর কৃষ্ণ কালা।
করেছি প্রতিজ্ঞা আমি -
সাগরে সঙ্গমে দিব ভোজ নিজ মাংস কাটি
তবুও চাই মোর বনমালী।
নাইবা আসিবে যদি
স্বপনে কেন মধুর আলিঙ্গনে ছুঁয়ে গেল মোরে
চুমিয়া বদনখানি।
পাইলে তাহার সঙ্গ মিশিবো অন্তরঙ্গ
যা চাহিবে কালা,  লুটাইয়া দিব তারে,
বড়ায়ী লো তাহারে আনিয়া দে।
           ***