সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গে সপ্তডিঙ্গা ডুবলেও-
ভালোবাসার দাবী নিয়ে আর কখনো নোঙর ফেলবোনা তোমার ঘাটে,
আর কভু তোমার দরজায় কড়া ছুঁতে আসবোনা অভিসারে,
হাজারো বিপদ শঙ্কুলে তোমার করুনা চাইবোনা হাত দুটি প্রসারিত করতে।
মোহ কেটে গেছে সেই কবে কতদিন আগে-
বুঝতে পারিনি অনন্যা, একদম বুঝতে পারিনি;
বৃক্ষ যেমন বুঝতে পারেনা পত্রগুলো ঝরে যাওয়া,
জোয়ার যেমন পারেনা বুঝিতে কখন নামবে ভাটা,
সাথীহার বিহঙ্গের মত আমি আজ বিরহের প্রমাদগুনি।
অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে কতবার খুঁজেছি -
মহাবন আমাজান হতে সাহারার তপ্ত মরু পরে যাযাবর বেশে,
পরিযায়ী বিহঙ্গের মত ডানা ভাসিয়ে ভেসেছি অবিরাম শূন্যে,
শুধু কাছে পাবো বলে,
তারপার ছু্ঁয়ে দেবো পরম আদরে শক্ত বন্ধনের আলিঙ্গনে
ভালোবেসে দেবো,
আর কিছু নয়, এই ছিলো মোর চাওয়া।
তবু আজো অজানা রহস্যে ঘেরাই রয়ে গেলে অনন্যা,
অন্তর্ভেদী চাপা বেদনায় হৃদয়ের চারিপাশ আহত,
নিঃশব্দের রক্তক্ষরণ অবিরত, যা দেখা যায়না-দেখানোও যায়না,
সহস্র বেদনা বুকে চেপে-
আজ আমি ব্যর্থ ভুল মানুষ হয়েই রয়ে গেলাম।
           ***