দেখেছি তোমারে আমি অপলক চেয়ে জীবনানন্দের মত করে,
বনলতাকে যেমনি করে দেখেছিলেন শ্রাবস্তির কারুকার্যে;
দেখেছি হরিণীর মত মায়াবী নয়ন তারা,
মোনালিসার দীপ্তিময় রহস্যের হাসিমাখা মুখ,
উন্নত তরঙ্গায়িত অশান্ত বক্ষদেশ,
বসন্তের রোদেলা সোনালী  শরীর।
মধুবর্ষী মিষ্টি সুরেলা কোকিলের কূহুতানে হৃদয় বিগলিত,
বিমুগ্ধ তন্ময়তায় অবগাহন করেছি তোমায়,
ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তিত্ব অথচ কত নিরহংকার তুমি।
বড় সাধ জাগলেও স্পর্শ করিনি,
গোলাপ আহরণে বড্ড মায়া আমার-
যদি পাপড়িগুলো ঝরে যায়!
পাশা-পাশি বসেছি ক্ষণকাল,
উপলব্ধি করেছি স্পষ্ট শরীরের পারফিউমের মিষ্টি সুবাস,
স্নিগ্ধ বিকেলে হাজারো মানুষের ভীরে সেকি আকুতী তোমার,
অথচ আমি একদম বুঝতেই পারিনি তোমার চাওয়া।
যে নদী মরে গেছে সে কী কভু বুঝে স্রোতের ধারা?
এখনো তোমার শরীরের উত্তাপে রোমাঞ্চিত হই-
হারিয়ে যাই কল্পনার সাগর দ্বীপেরদেশে,
কোন নির্জন নির্ভৃতে যেখানে শুধুই তুমি আর আমি ;
কবি আর বনলতা সেনের মত মুখোমুখি বসে-
মেহগনির ডালে এক জোড়া খয়েরী শালিক শুধু থাকবে চেয়ে,
সূর্যটা ডুবে যাবে, ঝিঁ ঝিঁর সঙ্গীত উঠবে বেজে
পূর্ণীমার পূর্ণশশীর ঝলকে চিক্ চিক্ করবে তোমার নোলক,
তারপর অলোকে হারিয়ে যাবো হবেনা কভু ফেরা।
        ***