সোনালী অতীত আজ মনে পরে বারে বারে
ভুলিতে পারিনা কোন মতে সে এক যন্ত্রণা অপার।
ফাগুনের সেই স্নিগ্ধ বিকেল পদ্মার তীরে-
অস্তগামী লাল সূর্যের তির্যক কর মেখেছি গায়ে
সারাদিনের কর্মক্লান্ত কৃষকেরা ধূলিমলিন শরীরে ফিরছিল ঘরে,
ঝাঁক বেঁধে বিহঙ্গ নীড়ে ফেরায় তরে ডানামেলে আকাশে,
সবুজ রবি ক্ষেতে অপলক চেয়ে দেখেছি দু'জন
কিছুই হয়নি বলা যা করে গেছি মনে।
অনন্যার কুন্তল উড়ছিল মৃদু বায়ুর পরসে
গোলাপের মত পারফিউমের সুগন্ধ লেগেছিল নাকে।
তারপর সন্ধ্যা নেমে আসে, ফাগুনের পূর্ণীমা শশী পূর্ব দিগন্তে স্পষ্ট দৃশ্যমান,
দল বেঁধে শেয়ালেরা ডেকে যায় মুহুর মুহু
ভয়ে আঁতকে ওঠে অনন্যা জড়িয়ে ধরে বলে-
' আর নয়, চলনা আজ তবে যাই।'
সেই যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হবে বুঝিনি একদম,
স্মৃতির মর্মরে আজো বাজে, হৃদয়ে ধ্বনিত হয় বিরহ বেদনা অফুরান,
নিরবে নিকষ প্রস্তর সম ভারী বেদনাগুলো শুধুই বয়ে বেড়াই।
কোথায় হারিয়ে গেলো সেই ফেলে আসা স্মতিময় দিনগুলো,
আর কি ফিরে পাবো সেই রোমাঞ্চময় সোনালী অতীত?
সে তো শুধুই স্মৃতি ,
আর কভু আসবেনা ফিরে,
তবু হারানো সেই দিনগুলো ভাসে আঁখিপাতে।


    ***