তোমার শরীরের উষ্ণতা আমাকে দারুণ রোমাঞ্চিত করে,
কাজল রাঙা আয়ত নয়ন দুটির মায়াবী চাহনি
গোলাপী ঠোঁটে আলতো মাখানো লিপিস্টিক ঠিক গোলাপের পাপড়ি,
ডান হাতে সোনালী ব্যাচলাই কী দারুণ দেখতে!
সদ্য শ্যাম্পু করা সিল্কি ঘনকালো কেশপাশ মৃদু বাতাসে দুলিছে কুন্তল।
মোনালিসার মত রহস্যময়ী হাসি আমি তন্ময় হয়ে দেখি অপলক,
অনন্য অনন্যা তুমি কি নেশা জাগালে মনে।
নেভিব্লু ছাপানো জামদানী শাড়িতে অপরূপা অপ্সরী
যেনো দক্ষ শিল্পীর গড়া নিঁখুত প্রতিমারূপী।
নিভাঁজ নিটোল ত্বক ঠিক যেনো দর্পণের মত,
অবিকল নিজেকে দেখি নিজের অবয়ব।
সেই যে ক্ষণিক দেখা, যখন বসিলে পাশে -
তোমার শাড়ীর ভাঁজ থেকে নাসারন্ধ্রে ভেসে আাসে পারফিউমের মিষ্টি সুবাস
যা আজো অনুভব করি,
তোমার গরম নিঃশ্বাস আমাকে আনমনা করে,
ঠিক যেমনি করে ফুলের পানে মৌমাছি ছুটে যায়
তেমনি করে সাধ জাগে তোমাপানে ছুটিতে।
আবার কি হবে দেখা কোন এক মাহেন্দ্র ক্ষণে?
ক্ষণিক বসিবে পাশে, নন্দিগাঁয়ের সেই বুড়ো বটতলায়,
রক্তিম সূর্যটা ডুবে গেলে চলে যেও সন্তর্পণে,
যখন নীড়ে ফেরে বিহঙ্গেরা দিনের ব্যস্ততা শেষ করে।
রেখে যাবে তোমার ঘন নিঃশ্বাস, আমার অস্তিত্বে বাজিবে তীব্র  মাদকতা;
তারপর মিলিয়ে যাবো নিশির অন্ধকারে।
             ****