আমি সেই সকালের গল্প বলছি,
যে সকালে খুব শীত ছিল,
তেজদীপ্ত সেই সকালের সূর্যটা অন্য সকালে মত ছিলনা।
ভোরের কূয়াসা ভেঙ্গে সেদিনের সূর্যটা ছিল লাল টকটকে,
বিপ্লবের রঙে রাঙা।
অনেক দিনের সংগ্রাম শেষে সাহসী বীরের পুলকদীপ্ত রশ্মি,
কষ্টের সীমাহীন অন্ধকার কাটিয়ে প্রশান্তির জ্যোতিষ্ময় স্ফুরণ।
বাঁশ বাগানের ফাঁকগলে তীর্যক আলো ঘরের বাড়ান্দায় আছড়ে পরছে,
সারি সারি পাখিরা একে অপরের সাথে খুনসুটি করছে,
অনেকদিন এমনটা চোখে পরেনা,
দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গেছে আমার বার বার,
দাও দাও আগুনে পুড়তে দেখেছি,
বিকট শব্দে আচমকা আঁৎকে উঠেছি,
আজ এক ঘুমে রাতের যবনিকা,
স্বর্গের সুবাতাস অনুভবে আজকের সকাল,
আমি সেই সকালের কথাই বলছি।
যে সকালের জন্য নয় মাস অপেক্ষায় ছিল দুঃখিনী মা তাঁর সন্তানের জন্য,
সদ্য বিবাহিতা জলাঞ্জলি দিয়েছে যৌবনের রসবোধের,
আমি সেই সকালের গল্প বলছি।
ক্ষুধার্ত কোলের শিশু অনাহারী মায়ের চুপসে যাওয়া স্তন বৃথা চুষছিল অবিরাম,
অধীর আগ্রহে কপালে ভাঁজপরা চামড়া আরো গুছিয়ে অপলক তাকিয়ে এক বৃদ্ধ -
কম্পিত হাতে রাস্তার মাথায় এগিয়ে যায়,
আজ সকালই বিজয়ের নিশান উড়িয়ে ফিরবে ছেলে তার,
আমি সেই সকালের কথা বলছি।
             ***