বড্ড ভালো আছো বুঝি অনন্যা,
না থাকবার উপযুক্ত কোন কারনও নেই,
হায়া বিহীন মানুষ বলে বড় জানতে ইচ্ছে করে।
কতবার ভুলে যেতে চাই তবু ক্ষণে ক্ষণে হৃদয়ে ঘা মারে
চেতনে-অবচেতনে সতত আঁখি পাতে দৃশ্যমান তুমি
বাতাসে ধ্বনিত হয় তোমার নাম,
সুনীল অম্বরে সাদা মেঘের মাঝে তোমার প্রতিকৃতি অবিকল,
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে দেখি তোমার শরীরে তরঙ্গময়তা-
নদীর স্রোতে বহমান তোমার চলার গতিময় প্রবাহ,
স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় নাকে ভেসে আসে কামিনী ফুলের মত তোমার শরীরের সুগন্ধ
গভীর তন্মতায় ডুবে যাই, নেশারঝোঁকে মাতাল মত ছুটে চলি দিগবিদিক।


স্পষ্ট মনে আছে অনন্যা, আজো ভুলিনি স্মৃতিময় সেই দিনগুলো,
কখনো ভাবিনি সামান্য অভিমানের কাছে তুমি হার মানবে,
নিষ্কণ্টক চলার পথে বিছিয়ে দেবে কাঁটা,
চলার পথ হবে বন্ধুর ;
যেখানে অবাধ বিচরণ করেছি একদিন দূরন্ত দূর্বার
জোছ্না আলোকিত নিশুতি রাতে অভিসারে,
আর দিবসের সূর্য করে রৌদ্রস্নান করেছি কত!
কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় করিনি একদম,
সে ছিল এক অন্য ভুবন।
জানি সব স্মৃতি ভুলে গেছো আজ
মনে রাখবার প্রয়োজন মনে করনি।
আমি আজও তোমার পুরাতন স্মৃতিকে আলিঙ্গন করি-
পরম যত্নে হৃদয়ে ধারণ করে বেঁচে আছি।
যতদিন প্রবাহমান থাকবে শরীরে রক্ত সঞ্চালন
ততদিন মনে থাকবে তোমারই নাম অনন্যা।
ভুলে যাবো সে সাধ্য আর সাহস একেবারেই নেই আমার,
খুব কাছে থেকে দেখবার সাধ আর জাগেনা এখন,
দেখতেও চাইনা আর,
ফুটন্ত গোলারের পাপড়িতে স্পর্শ করলে ঝরে পড়ার ভয়
তাতে সৌন্দর্যের হানি ঘটে তাই।
আমি চাই তুমি অনন্ত জীবন্ত থাকো অনন্যা
সৌন্দর্য টিকে থাকুক অমলিন,
আর কিছু নয়, এই মোর চাওয়া।


রচনাঃ ২৫.০৪.২০২৩।
         ***