শীতের শেষে ঝরে যাওয়া বৃক্ষের শাখে নব পাতা গজানোর মত-
আবার বসন্তের ছোঁয়া আসবে এ আমি ভাবিনি কখনো;
আম, কাঁঠাল আর লিচু গাছের মত মুকুলিত, সুবাসিত
মুখরিত পতঙ্গের গুঞ্জন ধ্বনিতে আমার চারিপাশ....
তোমার আগমণ যেনো নতুন জীবনের সজিবতায় পেলবিত,
অনন্য সৌন্দর্যে সাজানো বাগিচার মত তুমি পুষ্পিত অনন্যা।
তবু ভয় জাগে হৃদয়ে, কুসুমে কীটের মত বুমেরাং হবে নাতো?
অণলে ঘরপোড়া গরু সিঁদুর রাঙা মেঘে যেমন আতঙ্কিত-
তেমনি ভয় আমাকেও আতঙ্কিত করে অহর্নিশি ;
সে অনুভব একান্ত আমার অস্তিত্বে সতত বাজে।
ভালোবাসার প্রগাঢ় রূপ আমি দেখেছি
দূর থেকে নয়, একেবারে  কাছে থেকে;
আগুনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বুকে জড়িয়ে
বাজিকরের মত অবলিলায় অগ্নি গেলার মত করে।
বিশ্বাসকে খুব সহজে তীরবিদ্ধ করেছে, ঝরেছে বিরামহীন রক্তধারা,
অসহ্য যন্ত্রনা বুকে চেপে সয়ে গেছি বার বার
হেরে গেছি আমি, জিতে গেছে নন্দিতা, অনামিকা, মাধবীরা।
আজ আমি সর্বহারা শূন্য হৃদয়ের তপ্ত মরুর যাযাবর,
তৃষা মেটাতে তুমি কোন অনন্যা?
তুমিও কী অমনি করে রক্ত ঝরাবে?
            ***