প্রচণ্ড তাবদাহের অবসান ঘটিয়ে এক পশলা বৃষ্টি যেমন প্রশান্তি-
ঠিক তেমনি করে তৃষিত হৃদয় পেলবিত হয় তোমার উপস্থিতি,
সে কী আর বুঝবে তুমি, উপলব্ধির চোখ দিয়ে দেখবে কভু?
প্রসূতি ঘরে প্রসব বেদনায় কাতরায় নব্য প্রসূতি
জীবন বাজি রেখে ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুর জন্ম দেয়
বুকে নিয়ে ভুলে যায় সব কষ্টের তীব্রতা,
আমিও ভুলে যাই তিক্ষ্ণদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা রক্তলাল চোখগুলো
হাজার বছর না দেখার যন্ত্রনা এক নিমিষেই বিলিন,
আমার বাগানে না ফুটলেও কোন এক বাগিচাতো পুষ্পিত,
নন্দিত করেছ অপূর্ব সৌন্দর্যের নন্দন।
কত পূর্ণীমা নিশিতে অভিসারে কেটেছে বালুকাময় কাশবনে-
মধ্যরাতে খুব কাছে থেকে শিয়ালের ডাক তবু এতটুকু ভয় জাগেনি মনে।
এক দুর্গা উৎসবে অষ্টমী রাতে আরতির ফাঁকে সবার অগোচরে-
নীলা মাসীর পুকুর পারে কেটেছিল কিছু সময়,
হয়তো আজ ভুলেই গেছ সেই স্মৃতিময় মধুর রজনী,
এমনি হাজারো স্মৃতি হৃদয়ে ধারন করে বয়ে বেড়াই
কষ্টগুলো এখন আর কষ্ট মনে হয়না অনন্যা-
পুড়ে পুড়ে অঙ্গারই হয়ে গেছি বুঝি,
সে কষ্টের উপলব্ধি বুঝবার স্পৃহা আজ তোমার একদম নেই জানি ;
তবুও ভালোবাসি তোমায়, নিখাদ - নিষ্কলুষ ভালোবাসা যাকে বলে।