বুদ্ধদেবের কঙ্কাবতীর মত তোমার নামের শব্দ আমার কানে এসে বাজে
দূর সিন্ধুর পারে আছড়ে পরা ঢেউ যেনো হৃদয় কম্পিত হয়।
ঘোর অমাবস্যার নিশিকালো অন্ধরারে আকাশের ধ্রুব নক্ষত্র তুমি-
শুধু চেয় চেয়ে দেখি অবিরাম।
মনের অম্বরে ধ্বনিত হয় তোমারই নাম ,
খুব ভোরে পাখির কূজনে মুখরিত স্নিগ্ধতায় তুমি,
সকালের সোনারোদে ঘাসের উপর জমে থাকা শিশির যেমন-
ঠিক তেমনি করে হারিয়ে যেতে যেতে তুমি প্রজ্জ্বলিত।
বৈশাখের খরতাপে তৃষ্ণার্ত কাকের মত আমি তৃষিত,
তুমি নিবারণে কাঙ্খিত জল হয়ে এসো অনন্যা;
কর্মক্লান্ত দিনশেষে সমুদ্রবক্ষে রক্তিম সূর্য অস্ত যাবার সময় -
ধরাকে যেমনি করে মায়ার সৌন্দর্য রেখে যায়
তোমার নামটিও তেমনি করে হৃদয়াকাশে রেখে যায় অনুরাগ অপার,
সে তুমি বুঝবেনা অনন্যা।
সিংহলের দারুচিনি দ্বীপের ভিতর দিক হারা উদ্ভ্রান্ত নাবিক আমি,
তবু এলাচির গন্ধ পাই - তোমারই নামে।
               ***