আমি নাগরিক বিহীন একজন সামান্য ভোটার,
আদমশুমারির মাথা গণনার একটি সংখ্যামাত্র।
রাষ্ট্রের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শুধুই ব্যবহার হই,
পাশাপাশি ধর্ষিত হই।গুম হই।খুন হই।ভাসি-ডুবি।


নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বিলুপ্ত হয় এরিষ্টটলের রাষ্ট্রচিন্তা,
পরজীবির আক্রমনের শিকার মানব উন্নয়ন তত্ত্ব।
লম্বা গোঁফের নিচে চাপা পড়ে মানবাধিকার কমিশন,
দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে চুরি হয় অমর্ত্য সেনের নোবেল।
গোলার ধান-চাল গিলে গিলে খায় পুকুরের মাছ,
দুমুঠো খাবারে প্রতিবাদ জানায় শূন্য হাঁড়ির তলা।
চোখের জলে বানের জলের লবনাক্ততা বাড়ে,
ডুবে মরা শিশুটির শরীর বাঁচে আরও কিছুদিন।


সকলে আমায় যখন যত্ন করে বানভাসি ডাকে,
রাষ্ট্র আমার নাম দিয়েছে তখন শুধুই ভোটার।
সুকান্তের আঠারো বছর বয়স এখনো অমুখস্থ,
জলে-স্থলে বিনামূল্যে বিতরণ হয় স্মার্ট কার্ড।
মানুষের দায়িত্ব মানুষ পেয়েছে।সৃষ্টিকর্তা সহায়,
ভোটারের ভরণ-পোষণ স্বয়ং নিয়েছে মহারাষ্ট্র।
দশ টাকার ঘুনে ধরা চাল।পচা গম।রুটির পোকা,
খাও।ব্যালটের গায়ে সিল মারার শক্তি থাকা চাই।


ওরে বানভাসি,মানভাসি,জানভাসি মানুষের দল,
আমরা মহারানীর রাজত্বের বেওয়ারিশ সন্তান।
মজুর-কুলি,কামার-কুমার,ধোপা-তাতী,জেলে,
আমাদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে না,বরং ভোট নেবে।


রাষ্ট্র তুমি মানবিক হও,
ভোটার নয়,মানুষ কও।