পশ্চিমা বাতাস।প্রচন্ড রোদ।কাঁচা আম পড়ে।কুড়াই।
পাকা সুপারি কুড়াই।মুখে মুখে আইসক্রিম ফুরাই।
জাম্বুরার ফল।মজার ফুটবল।খেলেছি কত,
চুরি করা কাঠ।ক্রিকেটের মাঠ।মার খেয়েছি শত।
তিস্তার তীরে উলঙ্গ ছোটাছুটি,মাঝে মাঝে ডুব,
বালি দিয়ে বাড়ি গড়ি,ছোট ছোট মাছ ধরি খুব।
কলাপাতার নড়বড়ে দোকান,বেড়ার কঞ্চি বাঁকা,
ইটের গুড়ার হলুদ বেচি,কাঁঠাল পাতার টাকা।
রোজ রোজ খেলি ভোজ,ফেলে বই-খাতা,
মিছেমিছি খাই বালুর ভাত,কাঁচা শাক পাতা।
বাবার সাথে যাইতাম হাটে,আলু-বেগুনের ব্যাগ ভারী,
এক টাকায় বারোটা লাড্ডু,খাইতে খাইতে বাড়ি।
হৈ চৈ সারাবেলা।লুকোচুরি,মার্বেল খেলা,
বর্ষার দিনে ভাসিয়ে ভেলা,ফিরতাম বাড়ি সন্ধাবেলা।
বাতাসের পানে,শরীর টানে।পা-ঠোঁট ফাটে
খলিলের দোকানের শিশুমালতী।সবই কাটে।
লাল রং মালতী লাগাতাম ঠোঁটে,ভাল বাসিতে বাসিতে,
ফাটে না আর মলিন ঠোঁট,শৈশবের বাঁধভাঙ্গা হাসিতে।
শিশুগুলি এখনো আছে,শুধু মালতীটা নেই কাছে,
যার অভাবে ফেটে চলেছে দুরন্ত শৈশব।
দুষ্টামি।আনন্দ।উচ্ছ্বাস।কোলাহল। সব।