যখনই তোমাকে বুকের খুব কাছে
টেনে নিতে চাই
তুমি সরে সরে যাও।
যখন আমার রুহতে প্রেমের পিপাসা
তুমি মরুভূমি হয়ে অলক্ষ্যে তাকাও।


জানি তোমার হাজার নদী আছে,
আছে লক্ষ্যাধিক ঝর্ণার বেলোয়ারি সুর।
আমার তো ছিলে শুধু তুমি!


যখনই তোমাকে আপন করে নিতে চাই,
তুমি আমার সিথানে খেজুর কাঁটা বিছিয়ে
আবডালে সরে পড়ো।
জড়োসড়ো এই আমি খুঁজি
একরাত ঘুম।
পাইনা.............  
অবহেলার বালিশে দু চোখে ঘুম আসেনা।


ঠিক যখনই তোমার জন্য আমি তৃষিত হরিণ,
তুমি হয়ে যাও কৃষ্ণসাগর।
কেন এত সরে সরে যাওয়া?
কেন খেলার ছলে এই মৃত্যু ভীষণ!
তুমি কী রাতের আকাশে চাঁদ দেখোনা?
জ্যোৎস্নার পারদে আমি গলে পড়ি
তোমার উঠোনে।


যখনই তোমাতে আমি উতলা আকুল,
তুমি হয়ে যাও অন্য কারুর।
তবু এই বিশ্ব চরাচরে কবিতার বীজ বুনে যাই, ভাবনার করিডোরে তোমাকে সাজাই,
স্বপ্নের কফিন কাঁধে নিয়ে,
হেঁটে যাই দিগন্তের পথে।


জানি ও বুকে আমার ঠাঁই নেই,
অই চোখে শুধু কামনার বাতি জ্বলে।
আঁধারের কাব্য লেখা কবি
বুঝে গেছে দোয়াতের অভিশাপ কাকে বলে।


অতঃপর,
যখনই তোমাকে পেয়েছি আলিঙ্গণে,
বুঝেছি হৃদয় ফেলে এসেছ
কারো টিপের পাতায়, শাড়ির আঁচলে কিংবা
সরু কোমরের ভাঁজে।
তাই বিদায় নিলাম খুব সহজে
তোমার নিত্যদিনের লুকোচুরি থেকে.......।