সতেরো হাজার একশ পঞ্চান্নটি চিঠি
অপেক্ষায় থাকবে।
অপেক্ষায় থাকবে অযুত নিযুত বেলী,
তীর্যক রোদের বিকেল
মুখোমুখি দুটো বেতের চেয়ার,
একাশিটি উইন্ড চাইম আর একশ এক গোলাপের প্রাণ........
অপেক্ষায় থাকবে একটা আজন্ম কিশোরী মন।


অপেক্ষায় থাকবে শুকনো মেহেদী পাতা,
রঙ ছড়াতে পারেনি বলে,
কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে গেছে
বইয়ের পাতায়।
অপেক্ষায় থাকবে মৃত জোনাকির আলোক আশীর্বাদ,
বুড়ো শিশু গাছ আর অই মেঠো পথ,
উদার আকাশ।


ততদিনে লাবণ্য ফুরিয়ে যাবে,
শুকনো চামড়ায় শৈত্য ভীষণ।
ঘোলা চোখ, কোমরে বাঁকা হাড়ে গল্প হাজার,
পুরো এক জীবনের কত দৌড়,
কত হৈচৈ, হল্লা বেশুমার।


তোমার রক্তের উষ্ণতা
কপালে লেখা নেই আমার,
না হয় দিয়ো অই শীতল হাতের ছোঁয়া।
অনাথ আত্মা প্রশমিত করে
একবার মাথায় হাত রেখো,
প্রাণভরে দিয়ো একটা দোয়া,
"যেন অনন্তে দেখা হয়......"


আমার কত গল্প জমা আছে,
কত কত সূর্যাস্ত অপেক্ষমান
যায়নি অস্তাচলে,
কবি আর কবিতাকে মুখোমুখি দেখবে বলে।
কত গোলাপ ঘুমিয়ে আছে,
প্রাণবীজ লুকিয়ে আছে তোমার পদতলে!


তোমার যখন ছুটি হবে,
পাবে অখন্ড অবসর।
বুকের শীতল পাটি বিছিয়ে দিয়ো,
প্রিয়তম, এ বেলা নাইবা এলে,
কথা রেখো, অন্তত আশিতে আসিয়ো।