তোমাকে স্পর্শ করিনি হুড খোলা রিকশায়
কোন সকালে হইনি তোমার
ঠোঁটে-তাপ-চা।
খাঁ খাঁ রোদ্দুরে,
যানজটে ঘামে ক্লান্তিতে
আমাকে মনে পড়েনি তোমার।
টাই বাঁধতে গিয়ে মেরুন রঙ
ভাবায়নি একবারো
মেহু মেরুন ভালোবাসে খুব.....


গড়িয়ে যাওয়া মার্বেলে,
শুকিয়ে যাওয়া শিশিরে,
কিছুতেই তোমার হয়নি আক্ষেপ
ভাবোনি, চাইলেই আমরা হওয়া যেত!


সন্ধ্যার ঝিলে চকমকি আলো
পাঁচতারা মেনুকার্ড কিংবা সুটের বোতাম
হাত গলে ছুটে যায়নি কিছু,
আমার থাকা না থাকায়।


তোমায় ছুঁইনি একবারো হুড-খোলা রিকশায়।
বলিনি যা বলার ছিল।


নীলক্ষেত কিংবা বইমেলায়
রঙ মেলানো শাড়ির আঁচলে;
খসে পড়েনি দু একটা বেলী
তুমি অঢেল ব্যস্ত বলে।
শরৎ গেছে, হেমন্তে ফলেনি মাঠ,
বসন্ততিলক মুছে যাবে কয়েক প্রহর বাদে,
চুকে যাবে ফুল-ঠাট-বাট!
সানকিতে জল-ভাত খিদে পাইনি তোমার,
পাইনি ঘর-দোর-উঠান-চৌকাঠ....


তার আগেই নির্মোহ এলো
এলো কালবৈশাখী প্রকাণ্ড স্বরে!


উড়ে গেলো ডানা ভাঙা পাখি
ব্যথার তোয়াক্কা না করে।