ভর সন্ধ্যায় নগ্ন হৃদয় নিয়ে
তোমার সামনে নতজানু হয়েছি বলে
প্রিয়তম, খোলা বই ভেবো না!


কালবোশেখের মত্ত পদ্মার ঢেউ
       বাঁধা যায় না রঙিন রিবনে।
নোনা হীন ম্যানগ্রোভ পাবে কি কখনো
গোলপাতা সুন্দরবনে?
চাঁদকে দোহাই দিয়ে দ্যাখো
এক সৌর বর্ষ রোদের তাপে,
প্রকৃতি পাল্টাবে না
      বে-বুঝ কাগুজে প্রথার ম্যাপে।


মধ্যরজনীর তেষ্টায়
পিপাসু হরিণ ছুটে গেছে জলের নেশায়
অবলীলায়, নির্বিবাদে;
চোরাবালি, অগ্নিগিরি সব সব ছাড়িয়ে
নিজের কপালে নিজেই পা মাড়িয়ে।
অবুঝের মতো গরলের তীর ছুঁড়ো না!
প্রেমের স্ফুরণে আমি
তূর্মী আতশবাজির মতো
অনেকটা ছড়িয়ে গিয়েছি বলে,
প্রিয়তম, বিধ্বংসী কিংবা ফানুশ নামে ডেকো না।


এ কামিনীর ডাল বারোমাসি ফুলে
ন্যূব্জ নতজানু ভীষণ ব্যকুল...।
নিজের সুবাসে কস্তুরি অস্থির;
অশ্রুর রিমঝিমে সামান্য হাওয়ায়
অঝোরে ফুল ঝরে বলে,
বেহায়া বিলাস বোলো না.......


প্রচ্ছদের আড়ালে পাতা
পাতার বুকে গল্পের খইফুল
'জেনে গেছি' এ হেলায়
নেহাত জলে ফেলো না......
গল্পের আড়ে গল্প থাকে
তার আড়ে থাকে রহস্য শিলালিপি।
খাপ খোলা তলওয়ার
আর শিশি'র খসা ছিপি
এক করে তালগোল কোরো না।


প্রিয়তম, দু পৃষ্ঠা ছুঁয়েই মেহু'কে
খোলা বই ভেবো না।


চোখ খুললেই আকাশ
দম নিলেই বাতাস
এতটা সহজ প্রেমে অতিষ্ঠ হয়ো না।
ভর সন্ধ্যার হলুদ শাড়িতে
নতজানু নগ্ন হৃদয় নিজেকে আবৃত করতে পারেনি বলে
প্রিয়তম, তাকে তুমি জেনে যাওয়া ইতিহাস বোলো না।


না গো, একদমই ওসব বোলো না......
প্রসূন পরানে অই তাপ একদমই সয় না!