কী এক অহেতুক বেঁচে থাকা......
হাত ছাড়িয়ে নেবার রাজত্বে
নিমিষে অজস্র সাপ আসে,
পেয়ালায় বিষাক্ত বিষ নিয়ে।
তৃষার্ত হওয়াটা কী এত বড় অপরাধ?


এক একটা নির্জন দুপুর,  
বাঁকা রোদ আর তেতে ওঠা জানালার কাঁচ
আজকাল বোবা হয়ে থাকে।
ওদের কোন কথা নেই,
খিদে নেই,
নেই প্রশ্বাস কিংবা আকুলতা।


সেকেন্ডের কাঁটার সাথে ভীষণ ক্লান্তিতে
হৃদপিন্ড চলে। ভাবে কেন আছি?
না থাকলে কী ক্ষতি?


বেলাভূমির অগুনতি বালুকারাশি,
সাগরের নোনা,
আর আকাশের সব তারা
ঘাসফুলের আয়ুর জন্য মোনাজাত করেছিল।
মেঘের প্রাচীর টপকে যায়নি বলে,
মিইয়ে গেছে পাঁপড়ি,
ফুরিয়ে গেছে ক্ষুদ্র সুবাস।


মার্বেল গড়িয়ে যাবার পর
চঞ্চল শিশুরও উদাস লাগে,
আমার তো চলে গেছে জীবনের পৌনে তিনভাগ!
এখন শুধু ঢিমে তালে
রূহ আর নফসের তলোয়ার টুংটাং!  
ওরা জানেনা যুদ্ধটা শেষ হয়ে গেছে।


মায়ায় রাজ্যে আশ্বিনি প্লাবন
কবি ভেসে গেছে অথৈ বিষাদে,
পরে আছে শেষ প্রাণবীজ,
অন্তিম সবুজের রেশ।


কাফনে, কর্পূরে জরাবার আগে
অন্তত একবার গোলাপের দেশে নিয়ে যেও।


প্রিয় হিমালয়,
আমি লাশ হয়ে শেষ দেখার আগেই
জ্যান্ত চোখে প্রথম দেখাটা দিও।