আগেও তো দেখেছি
সবুজ এতটা সবুজ ছিলনা।
এই নিম গাছে রোদ ঝলমল
পান্না সবুজ জ্যোতি।
অই বাঁশঝাড় কিচিরমিচির
ছোট পাখির ইতিউতি.....
আগেও তো দেখেছি ভীষণ
এতটা আবেগী ছিল না.......।


ভর দুপুরে যে ঘুঘু ডেকে ওঠে
মায়াবী সুরে,
ও তোমার খোঁজ জানে।
জানে উতলা হাওয়ায় আলুথালু বাঁশঝাড়
আর আমগাছটার লাজুক হলুদ পাখি।


তোমার নিঃশ্বাস বাতাসে
ঘোরলাগা কস্তুরি দিন.....
আমি হই উতলা হরিণ।


বৃষ্টির ছলনা করা মেঘলা আকাশ
তখন মুহুর্তে সোনাঝুরি বন।
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ, নীলাকাশ,
বকের ডানা আর
      সজনের ডালে একলা শালিক
           সবাই তোমার কথা বলে।
শিলকড়ই গাছে যে দুটো দুষ্টু-মিষ্টি কাঠবিড়ালি
সংসার পেতেছে,
তুমি আসবে বলে
ওরা কাঠবাদামের গাছে হানা দেয়।


চোখ বুজলেই জল হয়ে যাই,
এক ঝাঁক নীলকন্ঠ হাঁস
        চৈ চৈ করে বুকের বাঁ পাশে।


ইস! কী ভীষণ আঁতাত,
      তোমার আর প্রকৃতির।  
আমার রাগ, অভিমান
শুকনো বালির মতো উড়ে যায়,
নিষ্পাপ পূবালী বাতাসে।
ওরা সবাই তোমায় বড্ড ভালোবাসে।


অপেক্ষার সারাটাদিন আমি
রোদেপোড়া চৌচির জমি।
তখন ঘাসের শেকড়ে বাঁচার আর্তনাদ,
কাঁদে ফড়িং, পথ চেয়ে থাকে ঘাসফুল,
সবুজের তৃষ্ণায় কাঁদে উষর ভূমি।


অতঃপর,
সন্ধ্যা নামে।
আঁধারের নেশা ক্রমে ঘনীভূত হয়।
শরীরের চারপাশে সারাদিনে এইযে চীনের প্রাচীর,
অদম্য জিদের বহর,
অভিমানে ইস্পাত হৃদয় মোড়ক,
খসে যায় পুরোনো পলেস্তারার মতো।


দিনশেষে তুমি আসো ঝর্ণার স্নান,
ধুয়ে যায় আমার শত অভিমান।  
অস্থির প্রাণ দিঘি হয়ে যায়,
          ভেসে ওঠে তারাভরা
                 আকাশের ছায়া।
যখন তুমি নাম ধরে ডাকো, "মায়া"........