ভালোবাসায় সিন্ডিকেট পারিনি বলে
আজ তুমি অন্য কারো বুকে
কিংবা আত্মপ্রেমের সুখে।
হয়ত ব্যস্ততায়,
হয়ত একান্ত ক্লান্তিতে।
সবেতেই তুমি আছো
শুধু আমাতে রইলে না।


কেন থাকবে বলো,
আমাকে চাইলেই দেখতে পাওয়া যায়,
আমাকে চাইলেই ছোঁয়া যায়।
মেহুলের দ্বীপদেশ তোমার হাতের তালুর মতো চেনা।
বলছি শোন না,
অই যে আকাশটা, চাইলেই দেখতে পাওয়া যায়;
ওর বিশালতা এমনই.........
ছুঁতে পেরেছিলে কি?
হাত বাড়ালেই বাতাস ছোঁয়া যায়
চর্মচক্ষুতে দেখেছিলে কোনদিন?
রাখতে পেরেছিলে কোন এটমোস্ফিয়ার
হাতের মুঠোতে?
আর হ্যাঁ, চাইলেই যে দ্বীপে হাঁটা যায় বলে
কলম্বাস না হওয়ার আক্ষেপে ভুগেছ,
তার ঠিক পাশে একটা গভীর সমুদ্র আছে।
কপাল ভালো,
ওর সুনামি তোমাকে গ্রাস করেনি।


মোনালিসা হইনি বলে
টের পাওনি কোনদিন
আনন্দে আমি শুচিস্মিতা হই
দুঃখে হয়ে যাই জ্বলন্ত জিরাফ
অপেক্ষায় হয়ে উঠি মেল্টিং ক্লক।
এই মনের অবচেতন দেয়ালে কত ছবি,
কত শিল্পীর অবাক আঁচড়!
তুমি শুধু ভিঞ্চিই খুঁজে গেলে?


বলতে পারো?
কেন আমি অমন মিথ্যের জাল বুনব?
কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে
আঙুরলতার প্রবাদ হবো?
কেন হবো শিকেয় তুলে রাখা তিলের নাড়ু?
তুমি কি নেহাতই দস্যি বালক ছিলে?


তোমাকে দেখেছি কখনো মিঠে-জল-হৃদ
কখনো আবার মহাসাগরের রূপে,
ঝাঁপ দিয়েছি এক বুক স্বপ্নালু ঘোরে।
অতঃপর তোমার পরিধি কমে এলো,
তৃষ্ণা রেখে গেলে লবণাক্ত তৃষিত অধরে।
কী বললে?
লাবণ্য? চাইনে আমার।
ওতে শুধু লবণই চোখে পড়ে।


ভালোবাসায় দুস্পাপ্য হতে পারিনি বলে
আজ তুমি অন্য কারো চোখে
কিংবা আত্মপ্রেমের রোখে,
হয়ত ব্যস্ততায়,
হয়ত একান্ত শ্রান্তিতে।  
সবেতেই তুমি আছো
শুধু আমাতে রইলে না।