মেয়েটা আমায় ভাবুক করে দেয়,
ঢলো ঢলো দিঘি-চোখে
                যখন আনমনে তাকায়।
যেন এইমাত্র আকাশ থেকে
এক টুকরো মেঘ খসে পড়েছে
ঘাসের সবুজে!


যেন তার কোন বয়স নেই,
সে এক আজন্ম কিশোরী
     নিরালা শ্যাম মেঘবতী.....।


তার ধূপছায়া শাড়ির আঁচলে
রাত্রিরা লীন হয়,
অমলিন থেকে যায় আলতা-চরণ,
একলা মেয়েটি
ঠিক যেন মেঘের বরণ।


কবিতারা দল বেঁধে জোনাকির মতো
তাকে ছুঁতে আসে,
আকাশের তারা চিঠি লেখে
                 শিশিরসিক্ত মৃন্ময়ী বাতাসে।
পৃথিবীর সব বিরহের গান,
           ঠিক যেন তারই অভিমান।


বিকেল হলেই আকাশ নেমে আসে,
মন ছুঁয়ে নীলাভ হতে।
তিলোত্তমার কষ্টিপাথরে
সে জিতে গেছে পরতে পরতে....।


এইতো ক'দিন আগে
গালে ছিল নোনাপোড়া দাগ!
বুকভরা ব্যাথার বেহাগ আর
বিষাক্ত প্রশ্বাস.........
যেন জোড়াতালি দেয়া
এক মর্গের লাশ।


জানি অতীতের টেরাকোটা
থেকে যাবে আয়ুর প্রাচীরে।
তবু এই বিভোর হওয়া,
এই যে প্রশান্তের বুকে ডলফিন হয়ে
                               একলা সাঁতার।
এর কোন জুড়ি নেই।


মেঘবতী,
ক্লান্ত মন জানে,
বেঁচে আছি শুধু এটুকুর টানে।


ভীষণ শান্তির এই অস্থির আকুলিবিকুলি!
আয়নায় তাকিয়ে আজকাল
আমি গুম হয়ে যাই।
নিজের সাথে আমি কিই না কী বলি!