একদিন আকাশের সবকটা স্তর
উবে যাবে।
উবে যাবে ঘোলাটে মেঘ আর ধুলোট বাতাস।
রয়ে যাবে শুধু ঝকঝকে নীহারিকা
সাথে তুমি আর আমি।


আমার কাটাকুটি কাঁটার জীবনে তুমি
টকটকে লাল পারিজাত,
অকস্মাৎ দেখা দিলে
তারপর.........
আগুনের মতো জ্বলছো,
পুড়ছো, পোড়াচ্ছ....  
আর শুদ্ধ করছো কনকের মতো।


শুধু তোমার অবয়ব, ছায়া, মায়া
আর আমার কায়ার মৃত-নদী,
দেখো প্রমত্তা পদ্মা হয়েছে,
মানছেনা দিকবিদিক!
শব্দের মসনদে আসীন হয়ে আমি,
আমার কুন্ঠিত প্রেম সব হয়ে গেছে দূর্বার, নির্ভিক!
দেখো উদয়াস্ত ছুটে চলেছে চেতকের মতো।


কোজাগরী আকাশের সবটুকু মায়া
লেপ্টে আছে তোমার অধর পল্লবে।
শ্রান্তিহীন শুষে চলেছি সাহারার পিপাসায়....
এ কী ভীষণ তীব্র জ্বরের মতো
কপালে জ্বলে আছো,
আমি থরথর কাঁপছি প্রেমের উষ্ণতায়,
কখনো না কাটুক এই ঘোর।
ভোর হোক প্রতিদিন স্পর্শের আঙিনায়।


পারিজাত, এসো!
মিশে যাও অপরাজিতার নীলে....
আনত নয়ন আর চিবুকের তিলে,
লাল নীল মিশে আনো বেগুনী জারুল।
ফুলে ফুলে ভরে থাক এই চরাচর!
নশ্বর পৃথিবীতে আসুক নতুন ইতিহাস।


তুমি এসো নতুন শাড়ির পাড়ে,
আনকোরা সুবাস আর সাদা বেলির ভুবনে,
চুম্বনে এঁকে দাও সেরা কোন ছবি,
ক্যানভাস করে দাও কপোলযুগল।


অতলান্তিক প্রেমে, সংজ্ঞাবিহীন ফ্রেমে,
তুমি থেকে যাও স্বপ্নের নামে।
আমার কবিতার ফুল ঝরে পড়ুক
তোমার ওষ্ঠে গ্রীবায় আর বুকের মাঝে
কোমল উদার জমিনটায়,
প্রতিদিন .......
প্রতিরাত...............।


পারিজাত, এসো নীলাঞ্জনার দেশে,
এক মুঠো লাল আবির নিয়ে।
আকাশ বাতাস মুখরিত হোক
নীল-লোহিতের মিলনে....... ।