এক হৃদয়হীনের কাছে
হৃদয় খুঁজতে গিয়ে,
মেরুদণ্ডে মরচে পড়ে গেছে...
ফাঁপা হয়ে গেছে প্রজ্ঞার খুলি।
পড়ে আছে বোকা আর নিষ্পাপ
আকাঙ্ক্ষার ঝুলি,
এ শহরে সে এসেছিল কারো
প্রেমের ফুল কুড়াবে বলে।


অবশেষে কুয়াশাজড়ানো নীলক্ষেত
স্তব্ধ বইয়ের স্তুপ,
চাপা কান্নায় থেমে গেছে
চেয়ে দ্যাখো সমস্ত জাঁক, সবটুকু অপরূপ।
শুনে দেখো অই শহরে
আর কোন মায়াবি পাখির জোড়া শান্তিতে নেই,
ফুটপাত জুড়ে যতটা অবহেলা
ততটাই মিথ্যে ঝিলে পড়া চকমকি আলো।
কালোর চাইতে কালো
অই রাত, অই শহর জমকালো।


কাকে আমি বেসেছি ভালো?
যে না শরৎ চিনেছে,
না হয়েছে কখনো মাঘের সন্ন্যাসী।
ভালো না বেসেই অবলীলায় যে বলতে পারে,
প্রিয়তমা, ভালোবাসি!
শার্টের নিচে তিল, তিলের নিচে ত্বক,
তার নিচে স্তরীভূত পেশি
আর প্লাস্টিকের হৃৎপিণ্ড,
কী ভীষণ চকচক!


কাকে আমি বলেছি সূর্যোদয়?
যার বুটের আঘাতে আমার প্রাণ
নিতান্ত অর্বাচীন বালিকার মতো
নাকে-চোখে একাকার?
যে কখনো চেনেনি প্রেম,
কেন তারই কাছে আশিকির হাহাকার?


এক অপ্রেমিকের কাছে
জমা রেখে নিউরন,
হারিয়ে ফেলেছি কশেরুকা!
সত্যিই পারছিনা বইতে এই ভার
এই অপ্রেম, এই মিথ্যের মায়া
আমায় করেছে দ্যাখো প্লুটোর মতো একা!