পৌষ সংক্রান্তির রাতে
যেমন আয়োজন করে লোকে
খড়ের গাদা পোড়ে,
ঠিক অমনি আয়োজন করে প্রতিরাতে
আমি আমাকে পোড়াই,
তোমার প্রেমানলে আমি স্বেচ্ছায়, অবলীলায়
পতঙ্গের মতো আত্মহুতি দিই।
আমার রেশমি লাল চুড়ি,
কলাপাতা শাড়ির আঁচল আর গালের কালো তিল,
সব ছাই হয়
উড়ে যায় পোড়া ফানুশের মতো
তোমার নাগরিক ব্যস্ততায়।


তোমার নীল শার্টের আস্তিনে
হৃদয় ফেলে এসেছি,
চশমার ফ্রেমে বাঁধা পড়ে গেছে মায়া।
নতজানু হয়ে আছি,
গোলাপ কাঁটায় বুকে লিখেছি তোমার নাম।
বৈরি বাতাসে আঁচল উড়লেই
আমি হয়ে যাব বদনাম!


যত কাগজে তোমার স্বাক্ষর হয়,
যত কলমে তুমি আঙুল ছোঁয়াও
সেই সব কিছুতে আমার অস্তিত্ব...........
তুমি জানোনা।
অশরীরী হয়ে পাশে থাকি সর্বদাই
চেয়ে দেখি অপলকে,
কতবার তুমি পলক ফেলেছ।


তোমায় পাওয়ার আশায়
এন্টার্কটিকা পাড়ি দিই নগ্ন পায়ে,
ভিসুভিয়াসে কলিজা রেখে কৃষ্ণসাগরে স্নান করি।
মানতে, মুনাজাতে, ধ্যানে, জ্ঞানে
এখন শুধুই তোমায় পাবার আশা।
ভালোবাসা বেড়ে গেছে পিপাসার মতো।
বিশ্বাস করো,
এই আমি আকন্ঠ তোমায় চাই।


প্রতিটা দিন দাবানল,
প্রতিটা রাত সংক্রান্তি,
পুড়ে পুড়ে অঙ্গার মেঘালয় মন।
অচেতন সব জাগতিক দায়,
অসহায় কাটছে আমার পোড়া পতঙ্গ জীবন।